বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর শুরু হওয়া সমন্বিত অভিযানে গ্রেপ্তার ৫২ জনকে আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এর আগে গ্রেপ্তার দুজনকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। অভিযানে এই পর্যন্ত ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে।
২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় ছয়টি মামলা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে রবি ও সোমবার মোট ৫৪ জনকে আটক করা হয়। রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ জন নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী ছিলেন। পরে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ জন্য আদালতে বেথেলপাড়ার ৪৮ জন ও থানচির ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ১ নারীসহ ৪ জন—মোট ৫২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে বান্দরবান সদর উপজেলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বান্দরবান সদর অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী চেওসিম বমসহ দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, রুমার বেথেলপাড়া থেকে গ্রেপ্তার ৪৮ জন আসামির মধ্যে ৪৬ জনকে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ও ২ জনকে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র মামলাসহ কয়েকটি মামলার আসামি করা হয়েছে। থানচি থেকে গ্রেপ্তার চারজনকে ব্যাংক ডাকাতির মামলাভুক্ত করা হয়েছে।