কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় পারুল আক্তার (৪৯) নামের এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মো. হাবিবুল্লাহ এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পারুল আক্তার করিমগঞ্জ উপজেলার উলুখলা গ্রামের আনোয়ারুল হকের স্ত্রী। তিনি নিহত পাপিয়া আক্তারের শাশুড়ি। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এম এ আফজল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২ মে যৌতুকের জন্য গৃহবধূ পাপিয়া আক্তারকে মারপিট করে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পাপিয়ার ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে পাপিয়ার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে স্বামীকে বাদ দিয়ে অন্য তিনজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।