নতুন পদ্ধতিতে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি হওয়ায় রংপুর রেলস্টেশনের কাউন্টারে টিকিট কাটতে যাত্রীদের ভিড় নেই। তবে ঈদের পর ঢাকায় ফিরে যেতে যাত্রীদের ভরসা এখন স্ট্যান্ডিং টিকিটে। ট্রেন ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে।
রংপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, রংপুর থেকে ঢাকাগামী রংপুর ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামের দুটি আন্তনগর ট্রেন আছে। রংপুর এক্সপ্রেস রংপুর থেকে ছেড়ে যায়। আর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে রংপুরের ওপর দিয়ে চলাচল করে। এ ২টি ট্রেনে ঢাকার জন্য প্রতি ট্রেনে বরাদ্দ ১৫০টি আসন। অর্থাৎ, ২টি ট্রেনে প্রতিদিন ৩০০ যাত্রীর টিকিট মিলবে। তবে এবার ঈদ উপলক্ষে ২৫ শতাংশ টিকিট স্ট্যান্ডিং টিকিট হিসেবে বিক্রি করা হবে। ট্রেন ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে লাইনে দাঁড়িয়ে স্ট্যান্ডিং টিকিট নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, রংপুর থেকে লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন রুটে যাওয়ার ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রীর হাতে টিকিট আছে। যাত্রীদের তেমন কোনো অভিযোগও নেই। যাঁদের নিবন্ধন করা নেই, তাঁরা নিবন্ধন করে বিভিন্ন গন্তব্যের টিকিট কাটছেন।
পার্বতীপুর থেকে লালমনিরহাটের বুড়িমারীগামী কমিউটার ট্রেনের যাত্রী নুরজাহান বেগম জানান, ট্রেনেই সব সময় যাতায়াত করে থাকেন। নতুন পদ্ধতিতে টিকিট কাটতে প্রথমে একটু বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। তবে এখন আর কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
আলেয়া বেগম অপর এক যাত্রী বলেন, ‘এনআইডি নম্বর দিয়ে আগেই নিবন্ধন করেছি। এরপর টিকিট কাউন্টারে লাইনে দাঁড়াই। কাউন্টার থেকে মোবাইল নম্বর চায়। এরপর টিকিট পেয়ে যাই। কিন্তু আগে এত সহজভাবে টিকিট কাটতে পারতাম না।’
ট্রেনের টিকিট কীভাবে কাটতে হবে, এ জন্য হেল্পডেস্ক রয়েছে। সেখানে লেখা—‘এখানে রেলের টিকিট প্রাপ্তিতে এনআইডি রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা করা হয়।’ এ ছাড়া কীভাবে নিবন্ধন করে টিকিট কাটতে হবে, তারও একটি ব্যাখ্যা দেওয়া দেওয়া হয়েছে।
টিকিট ফেরত দিতেও নতুন নিয়ম করা হয়েছে। এ জন্য একটি নোটিশ বোর্ড টাঙানো হয়েছে। যেটি আগে কখনো ছিল না। টিকিট ফেরতের নোটিশে বলা হয়েছে, যাত্রা শুরুর ৪৮ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে টিকিট ফেরত দিলে শতকরা ১০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে কর্তন করা হবে। তবে যাত্রা শুরুর ছয় ঘণ্টা আগে টিকিট ফেরতযোগ্য নয়।
রংপুর রেলস্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক শংকর গাঙুলি বলেন, নতুন পদ্ধতিতে যাত্রীদের প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হয়েছে। কেননা সবাই তো এনআইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে বেড়ান না। তা ছাড়া ঢাকার যাত্রীরা টিকিট কাটতে এখন আর স্টেশনে ভিড় করেন না, তাঁরা অনলাইনেই টিকিট কাটেন। কারও কোনো অভিযোগও নেই।