বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগের দুই সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবর রহমান, হাবিবর রহমানসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শেরপুর থানায় এই মামলা করেন শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা গ্রামের বাসিন্দা রিফাত সরকার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছিলেন।
মামলার পর আজ শনিবার ভোরে অভিযানে চালিয়ে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার খন্দকার টোলা এলাকার ফজলুল হক (৪৮), সাইফুল ইসলাম (৫২), আবুল কালাম আজাদ (৫৫), মো. সুরুজ্জামান (৪৫) ও গরেরবাড়ি গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৪৫)। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর পৌর শহরের ধুনটমোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। হামলায় এই মামলার বাদীসহ অনেকে আহত হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান ও হাবিবর রহমানের হুকুমে এ হামলা চালানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগটি গতকাল রাত ১২টার পর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এজাহার হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পরে আজ শনিবার ভোরে বিশেষ অভিযানে মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
মামলায় এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।