লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান প্রকাশ্যে দলের নেতা–কর্মীদের টাকা দিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান প্রকাশ্যে দলের নেতা–কর্মীদের টাকা দিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

লক্ষ্মীপুরে গুনে গুনে টাকা দেওয়া নৌকার প্রার্থীকে তলব

প্রকাশ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের গুনে গুনে টাকা দেওয়ার ঘটনায় লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। আজ শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ পলাশ বর্ধন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে তলব করা হয়।

নোটিশে কেন তাঁর (আনোয়ার হোসেন) বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না, তা আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে সশরীর বা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান প্রকাশ্যে দলের নেতা–কর্মীদের টাকা দিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানকে প্রকাশ্যে নেতা-কর্মীদের গুনে গুনে টাকা দিতে দেখা যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে টাকা দেওয়ার ওই ঘটনা ঘটে। আনোয়ার হোসেন খান রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণায় কয়েকজন ব্যক্তিকে নগদ টাকা বিতরণ করেন। সেই টাকা বিতরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সাংবাদিকেরা মৌখিকভাবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। পরে টাকা বিতরণের বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে দাখিল করেন। প্রার্থীর এসব কাজ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮–এর ৩ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

অভিযোগের বিষয়ে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই এলাকায় গিয়ে আমি দোকানে চা-নাশতা খেয়েছি। এ সময় আমার সাথে থাকা নেতা-কর্মীরাও চা-নাশতা খেয়েছেন। চায়ের দোকানের বিল দেওয়ার জন্য টাকাগুলো দিয়েছি। ভোটারদের কোনো টাকা দেওয়া হয়নি।’