যৌতুক দাবির অভিযোগে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী। তিনিও পুলিশের কনস্টেবল। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আক্তারের আদালতে নালিশি মামলাটি করেন শিরিন আক্তার নামের ওই নারী। তিনি নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার বায়েজিদ অঞ্চলে কর্মরত আছেন। তাঁর স্বামী অভিযুক্ত আবু নাঈম নগরের পতেঙ্গা থানায় এএসআই হিসেবে রয়েছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী বখতিয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৭ মে শিরিন আক্তারের সঙ্গে আবু নাঈমের বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে ছয় বছরের এক সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় নাঈম বাদীর কাছে যৌতুক দাবি করে নির্যাতন করে আসছিলেন। কয়েক বছর আগে স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে এক নারীকে তিনি বিয়ে করেন। দুজনেই সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় শিরিন এ ব্যাপারে কোনো মামলা করেননি। তবে প্রাথমিকভাবে এই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ দেওয়ার পর যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এ বছরের ২৬ জানুয়ারি বায়েজিদ বোস্তামী থানার সরকারি বাসায় স্বামী নাঈম স্ত্রীর কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীকে নাঈম মারধর করেন। স্থানীয় ব্যক্তি ও আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে বিষয়টি আপসে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি যৌতুকের দাবিতে মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখায় শিরিন আদালতের আশ্রয় নেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পতেঙ্গা থানার এএসআই আবু নাঈম আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুপুরে মামলা হয়েছে শোনার পর আমরা বসেছি। মীমাংসার কাজ চলছে।’