ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে মুঠোফোন চুরির অপবাদের প্রতিবাদ করায় মো. হেবজু মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তন্তর এলাকায় এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রতিবেশী স্বামী-স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। হেবজু মিয়া উপজেলার ধারখার ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে হেবজু মিয়ার প্রতিবেশী শাহ আলমের মুঠোফোন চুরি হয়। শাহ আলম ও তাঁর স্ত্রী রেখা বেগম মুঠোফোন চুরির বিষয়ে প্রতিবেশী হেবজু মিয়ার স্ত্রী কুলসুম বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিবেশী শাহ আলম, তাঁর স্ত্রী রেখাসহ তাঁদের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে যান হেবজু মিয়া। সে সময় তাঁদের সঙ্গে হেবজু মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়। শাহ আলম, তাঁর স্ত্রীসহ বাড়ির লোকজন এক পর্যায়ে কাঠের রোল দিয়ে হেবজু মিয়ার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কুলসুম বেগম বলেন, শাহ আলম, তাঁর স্ত্রী রেখা বেগমসহ পরিবারের লোকজন বিনা কারণে তাঁর স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। তিনি এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, শাহ আলমের একটি মুঠোফোন চুরি হয়। এ নিয়ে প্রতিবেশী হেবজু মিয়ার স্ত্রী কুলসুম বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন শাহ আলমের স্ত্রী রেখা। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা কাঠের বস্তু দিয়ে হেবজু মিয়ার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী দুজনই পলাতক। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মামলার জন্য থানায় এসেছেন। তাঁরা অভিযোগ দিলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।