বরগুনার পাথরঘাটায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া দুই নেতা হলেন পাথরঘাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও ব্যবসায়ী মো. সেফাজ উদ্দিন এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও পাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছগির আলম।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক ও পাথরঘাটা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ ওই দুই নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাথরঘাটা বাজারে চাঁদাবাজি ও আওয়ামী লীগে দলীয় এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সহযোগিতার অভিযোগে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দলের একটি সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাথরঘাটা পৌর শহরের বিভিন্ন টোল প্লাজায় চাঁদাবাজির লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিএনপির দলীয় গঠনতন্ত্রের ধারা মোতাবেক পাথরঘাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সেফাজ উদ্দিনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে জবাব দিতে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেনকে সহযোগিতার অভিযোগে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও পাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ছগির আলমকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে ছগির আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাথরঘাটা শহরের মোক্তারপট্টি থেকে চেয়ারম্যান আমার মোটরসাইকেলে পরিষদে গেছেন। তা ছাড়া আমার পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সে আমার গাড়িতে উঠতে চেয়েছেন, সে জন্য আমার সঙ্গে গেছেন। এর বাইরে ওই চেয়ারম্যানকে আমি কোনো সহযোগিতা করিনি।’