সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকায় অপহরণ করে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে আবুল হাসান (২৬) নামের এক যুবককে খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার রায়হান আহমদ (১৯) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রায়হান সিলেট নগরের কাজীটুলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি সিলেট মহানগর যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। তবে তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই।
গতকাল রোববার বিকেলে সিলেট মহানগর আদালতে রায়হান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে রোববার ভোররাতের দিকে রায়হানকে কাজীটুলা মক্তব গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
জবানবন্দিতে রায়হান বলেছেন, ১৮ জুন রাতে মুক্তিপণের জন্য সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা আবুল হাসানকে নগরের আম্বরখানা এলাকার পাঁচতলা ভবনের ছাদে নিয়ে যান। আবুল হাসানের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাইকেও অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ সময় দুজনের কাছ থেকে প্রায় তিন হাজার টাকা ও মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার জন্য মারধর করা হয়। এ সময় ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আবুল হাসান। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তাঁরা পালিয়ে যান। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতে আবুল হাসানের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নিহত আবুল হাসানের বড় ভাই খালেদ আহমদ সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। পরে ২১ জুন হত্যা মামলা হিসেবে সেটি রেকর্ড করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছেন। তাঁদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
১৮ জুন রাতে গোলাপগঞ্জ থেকে সিলেট শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আসছিলেন আবুল হাসান ও তাঁর চাচাতো ভাই। সিলেট নগরে আসার পর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অন্য যাত্রীরা তাঁদের কৌশলে অচেতন করে আম্বরখানা এলাকার পাঁচতলা ভবনের ছাদে নিয়ে যান। সেখানে মারধর করে মুক্তিপণের টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে ছাদ থেকে ফেলে আবুল হাসানকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।