চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন যুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ কাসেইফ আল হুমুদি। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে
চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন যুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ কাসেইফ আল হুমুদি। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত

সব ধর্মের প্রতি সহনশীলতায় বিশ্বাস করে আমিরাত

সব ধর্মের প্রতি সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মূল্যবোধ প্রচার ও প্রসারে সংযুক্ত আরব আমিরাত অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ কাসেইফ আল হুমুদি। গতকাল শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতকে সংবর্ধনা দেয় চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ারুল আজিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী। অনুষ্ঠান শেষে বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ছবি তোলেন রাষ্ট্রদূত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের একটি নতুন ভবনের কাজ ঘুরে দেখেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ক্যাম্পাস ঘুরে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ কাসেইফ আল হুমুদি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি সবার মধ্যে তুলে ধরতে চান তাঁরা। দেশটি পরধর্মের প্রতি সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে। মানবিক মূল্যবোধ প্রচার ও প্রসারে যেসব দেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের মধ্যে অন্যতম। বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্মের মধ্যে সহমর্মিতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশটি ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ কাসেইফ আল হুমুদি আরও বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমরা সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বৈচিত্র্য উদ্‌যাপন করে থাকি। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে কোনো প্রকার বৈষম্য ছাড়া আমাদের দেশে সবাইকে স্বাগত জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, সহনশীলতা হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়ার মূল ভিত্তি। সংযুক্ত আমি আরব আমিরাত বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সংলাপ ও মতবিনিময় জোরদার এবং সহমর্মিতা প্রচারে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’