মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ধলেশ্বরী নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে নদীতে ভাসতে থাকা অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের ফুলহার গ্রামের বাসিন্দা সামছুউদ্দিন ব্যাপারী (৭০)। গতকাল রোববার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর ফুলহার লঞ্চঘাট এলাকায় বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকা ডুবে তিনি নিখোঁজ হন।
রাজানগর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তৈয়ব আলী ও ফুলহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান রাসেল লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, আজ সকালে নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা একটি ট্রলারে করে নদীতে উদ্ধার অভিযান চালান। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বালুচর এলাকায় নদীতে লাশটি ভাসতে দেখেন তাঁরা। পরে লাশটি উদ্ধার করে বাড়ি ফেরেন তাঁরা।
গতকাল সকাল ছয়টার দিকে সামছুউদ্দিন ব্যাপারী গরুর ঘাস কাটার জন্য নিজের ডিঙিনৌকা করে ধলেশ্বরী নদী পার হচ্ছিলেন। সে সময় ফতুল্লাগামী একটি খালি বাল্কহেড ডিঙিনৌকার ওপর উঠে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে নৌকাটি পানিতে তলিয়ে যায়। নৌকায় থাকা সামছুউদ্দিন পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায় শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নদীতে স্রোতের কারণে লাশটি দূরে ভেসে যায়। লাশটি উদ্ধার করে নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। বাল্কহেডটি গতকাল নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী নৌ পুলিশ আটক করেছে। নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা অভিযোগ দিলে মামলা হবে।
এর আগে ৫ আগস্ট রাতে জেলার লৌহজং উপজেলার রসকাঠি এলাকায় পদ্মা নদীর শাখায় তালতলা-গৌরগঞ্জ খালে বাল্কহেডের ধাক্কায় বনভোজনের একটি ট্রলার ডুবে যায়। ওই ঘটনায় নারী, শিশুসহ ৯ জন মারা যান। সন্ধান পাওয়া যায়নি আরও এক শিশুর।