প্রথম আলোর রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেট কাটছেন অতিথিরা। ছবি: প্রথম আলো
প্রথম আলোর রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেট কাটছেন অতিথিরা। ছবি: প্রথম আলো

অনেকের রোষানলে পড়তে হয়েছে, তবুও সত্য প্রকাশে অবিচল প্রথম আলো

প্রথম আলো সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকে। দেশের পরিস্থিতি যে অবস্থাতেই থাক না কেন, প্রথম আলো সব সময় মানুষের কল্যাণে সত্য কথা বলে ও নীতির পক্ষে অবিচল থাকে। তারা চেষ্টা করে সব সময় মানুষের কল্যাণে সত্য তথ্য তুলে ধরতে। যত বাধাবিঘ্ন আসুক না কেন, তা সরিয়ে প্রথম আলো সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিরা এ কথাগুলো বলেন। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা সদরের করমলি এলাকায় মডার্ন প্রি-ক্যাডেট স্কুল প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
‘জেগেছে বাংলাদেশ’ স্লোগান সামনে রেখে একইভাবে আরও অন্তত ১৮টি স্থানে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপিত হয়েছে। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এসব অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেন বন্ধুসভার সদস্যরা।

চুয়াডাঙ্গা
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক মুন্সী, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা মামুন বিন সালেহ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলার আহ্বায়ক আসলাম অর্ক প্রমুখ।

মুন্সি আবু সাইফ বলেন, ‘প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান জেগেছে বাংলাদেশ একটি নতুন দিনের বার্তা বহন করছে। চুয়াডাঙ্গায় প্রথম আলো প্রতিবারই ব্যতিক্রম আয়োজন করে। বিশেষ করে আমাদের নতুন অর্জনকে গ্রাফিতি অঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলার আহ্বায়ক আসলাম অর্ক বলেন, ‘মিডিয়াকে ঘৃণা করতে পারবেন; কিন্তু মিডিয়া ছাড়া থাকতে পারবেন না। আপনি গুজব মিডিয়ার সঙ্গে থাকবেন, নাকি সত্যবাদী ধারার প্রতি থাকবেন, সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। প্রথম আলোর কাছে প্রত্যাশা, সাংবাদিকতার নিজস্ব যে ধারাবাহিকতা, সেটা বজায় রাখবে। পাশাপাশি মিডিয়ার অতীত যে গৌরব, সত্যকে সত্য বলার যে সাহস, তা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গ্রাফিতি অঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কেক কাটছেন অতিথিরা।

ময়মনসিংহ
বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সম্মেলনকক্ষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাটা হয় কেক। ময়মনসিংহ বন্ধুসভার সভাপতি নাহিদ মণ্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ময়মনসিংহ প্রতিনিধি কামরান পারভেজ। ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ এখলাছ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম মোস্তফা, ময়মনসিংহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, নিউজ চ্যানেল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন শাহীদ, ময়মনসিংহ টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. মূসা, ময়মনসিংহ টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বাবুল হোসেন, সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মতিউল আলম, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি জগদীশ চন্দ্র সরকার, ময়মনসিংহ সংবাদপত্র পরিবেশক সেন্টারের প্রতিনিধি আবদুল আজিজ, হকার্স সমবায় সমিতির সভাপতি রিপন মির্জা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহের সমন্বয়ক আলী হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত অতিথিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ময়মনসিংহে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মোস্তাফিজুর রহমান।

ভৈরব
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোর ভৈরব কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভৈরব বন্ধুসভার সভাপতি প্রিয়াংকা ও সাধারণ সম্পাদক মানিক আহমেদ। সংগীত পরিবেশন করেন বন্ধুসভার বন্ধু মোশারফ রাব্বী। দেশাত্মবোধক ও লোক গানের ওপর নাচ করেন উম্মে হানি ও অন্বেষা। আবৃত্তি করেন মহিমা মেধা। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ভৈরবের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন ভৈরব বইমেলা পরিষদের সভাপতি সাগর রহমান, ভৈরব টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আসাদুজ্জামান ফারুক, কাকলি খেলাঘর আসর ভৈরব শাখার সভাপতি সত্যজিৎ দাস ধ্রুব, নিরাপদ সড়ক চাই ভৈরব শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আলাল উদ্দিন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও আবৃত্তিকার জলিবদন তৈয়্যবা, মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের সংগঠক জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

গাইবান্ধা
গাইবান্ধা শহরের নাট্য সংস্থা মিলনায়তনে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পাঠক সমাবেশে আবদুল রাজ্জাক নামের একজন পাঠক বলেন, ‘আমি জীবনে অনেক পত্রিকা পড়েছি। সব পত্রিকা পড়ে দেখেছি। প্রথম আলো সঠিক তথ্য ও নিউজ পরিবেশন করে। তাই ২০ বছর ধরে প্রথম আলো পড়ছি।’ গাইবান্ধা বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় পাঠক সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি শাহাবুল শাহীন। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, গাইবান্ধা আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের সদস্য ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির, ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ, স্কুলশিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রথম আলোর সাবেক সহসম্পাদক আলমগীর খন্দকার, পাঠকদের পক্ষে দাঁড়িয়াপুর হাজী ওসমান গণি কলেজের শিক্ষক আবদুল রাজ্জাক প্রমুখ।

অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান বলেন, প্রথম আলো সত্য খবর পরিবেশন করে। পত্রিকাটি শুধু নিউজ পরিবেশনই করে না, লেখাপড়া পাতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভালো ফলে সহায়তা করে। তাই পত্রিকাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করেছে।

আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রথম আলো পাঠকদের মধ্যে যে বিশ্বাস অর্জন করেছে, তা অন্য কোনো পত্রিকা করতে পারেনি। পত্রিকাটির বিশেষত্ব হচ্ছে, নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে ঘটনার শিকড়ে যায়। ফলে পাঠকেরা প্রকৃত খবরটি জানতে পারেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ইন্টারনেট–সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন প্রথম আলোই ছিল সত্য ঘটনার জানার একমাত্র মাধ্যম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা বন্ধুসভার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিসান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম ও উম্মে হাবিবা, জেন্ডার সমতাবিষয়ক সম্পাদক আয়াত ইয়াসার, প্রশিক্ষণ সম্পাদক নুরে আনজুম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুর রহীম, বন্ধুসভার সদস্য মেহেদী হাসান, তুবা রহমান, নিফাউল রহমান, মুহিত, বাপ্পি মহন্ত, গৌরি সরকার, সুরাইয়া আকতার প্রমুখ।

ভৈরবের অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন বন্ধুসভার এক সদস্য

জয়পুরহাট
বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জয়পুরহাট বন্ধুসভার সভাপতি নাজমুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর জয়পুরহাট প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কবি রবিউল ইসলাম, আইনজীবী আরাফাত হোসেন, সাংবাদিক আবু মুসা, শাহিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, ঈসমাইল হোসেন প্রমুখ। বন্ধুসভার সদস্য সাব্বির হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

নাটোর
শহরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নাটোর প্রতিনিধি মুক্তার হোসেন। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু আহসান টগর, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সুবিধ কুমার মৈত্র, সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক, লাঠি-বাঁশির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুস সালাম, সাবেক ব্যাংকার ও লেখক গোলাম কামরান, অধ্যক্ষ আল আসাদ বিন সাঈদ, ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম, ইউনিক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আকরাম হোসেন, আবদুল মতিন ও নাটোর বন্ধুসভার সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রভাতি বসাক।

অনুষ্ঠানে আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে শোনান বন্ধুসভার বন্ধু জাকির হোসেন। নৃত্য পরিবেশন করেন সৈকত আলী। এ ছাড়া নাটোর বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি আবদুল হাকিম, বর্তমান সভাপতি মাহবুব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমারসহ বন্ধুসভার নতুন-পুরনো অনেকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নাটোর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু আহসান বলেন, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা না থাকলে গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। বিগত দিনে এর বহু নজির আমরা দেখেছি। সংবাদপত্রকে মানুষের কথা বলতে হবে। কোনো ব্যক্তি, কোনো দল বা কোনো সরকার কী ভাববে, তা চিন্তা করে সংবাদ পরিবেশন করলে হবে না। সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। প্রথম আলো সে কাজই করে। তাই পাঠকেরাও পত্রিকাটিকে ছেড়ে যায়নি।’

কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের করমলি এলাকায় মডার্ন প্রি-ক্যাডেট স্কুল প্রাঙ্গণে কিশোরগঞ্জ বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক নুসরাত জাহানের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি তাফসিলুল আজিজ। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক কাজী করিমুল্লাহ। আরও বক্তব্য দেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল্লাহ, প্রবেশন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, কল্যাণী ইনক্লুসিভ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, সমন্বিত প্রতিবন্ধী সেবা উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি ইব্রাহিম মিয়া ও মডার্ন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক আনোয়ার হোসেন।

বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে এখন যেকোনো খবর অতি দ্রুত জানা গেলেও সবাই প্রথম আলোর খবর খুঁজেন। কারণ, সবার আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে প্রথম আলো। যত বড়ই ঘটনা হোক না কেন, প্রথম আলোতে এলে খবরটির প্রতি বিশ্বাস বাড়ে। এভাবে দীর্ঘ ২৬ ধরে প্রথম আলো মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গ্রাফিতি অঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

বগুড়া
দুপুরে পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মিলনায়তনে প্রীতিসম্মিলনে অতিথি বক্তব্যে দেন উপাচার্য অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র। প্রথম আলো পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর বগুড়ার নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার পারভেজ।

পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোনিয়া আক্তার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক নিগম সেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটির ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা এবং ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক নাজমুল হক, বগুড়া বন্ধুসভার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাফিউর রহমান, বগুড়া বন্ধুসভার সভাপতি চন্দন কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার সভাপতি ফারহানা সুলতানা, সহসভাপতি সাদিয়া রহমান, পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক অর্পিতা মণ্ডল প্রমুখ।

ভোলা
বেলা ১১টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভোলা বন্ধুসভার উপদেষ্টা সদস্য মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক কামাল হোসেন, তজুমদ্দিন উপজেলার কোরালমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও কবি এরশাদ সোহেল, আইনজীবী নজরুল হক, সমাজকর্মী ও ভোলার প্রথম দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইয়ারুল আলম, ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক, কবি অধ্যাপক মিলি বসাক, ভোলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক নজরুল হক, টবগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম আচার্য্য প্রমুখ।

সংগীত পরিবেশন করেন ঢাকা থেকে আসা সংগীতশিল্পী মনির চৌধুরী, ভোলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী মৃদুল দে, শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক সুস্মিতা দে; যন্ত্রসংগীতে ছিলেন ভাস্কর মজুমদার, আশীষ কুমার ঘোষ; নৃত্য পরিবেশন করেন জেবা তাসমিন ফারিয়া, দলীয় আবৃত্তি করেন, তানহা, মাইসুন, আরিক ও বুশরা।

পঞ্চগড়
বেলা ১১টার দিকে পঞ্চগড় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসে প্রথম আলোর ২৬ বছরের পাঠক ও স্কুলশিক্ষক মোজাফ্ফর রহমান বলেন, ‘প্রথম আলোর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন প্রথম আলো পড়ছি। প্রথম আলোর সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ছাপা পত্রিকায় না পড়লে পুরোপুরি তৃপ্তি পাই না।’

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের অন্যতম সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পঞ্চগড়ের গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে আমরা অনেক সহায়তা পেয়েছি। তাঁরা আমাদের প্রতিটি আন্দোলনের খবর তুলে ধরে বুঝিয়েছেন যে উত্তরের জেলার ছাত্র-জনতাও বসে নেই। নতুন বাংলাদেশের শহীদদের রক্তের কথা বিবেচনা করে এবং নতুন বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা চেতনাকে ধারণ করে প্রথম আলো আরও এগিয়ে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছি।’

পঞ্চগড় বন্ধুসভার সভাপতি রায়হান শরীফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পঞ্চগড়ের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এহেতেশামুল হক, প্রথম আলোর পঞ্চগড় প্রতিনিধি রাজিউর রহমান, পঞ্চগড়ের গণমাধ্যমকর্মী মোশারফ হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান, সহসমন্বয়ক সুরাইয়া আক্তার প্রমুখ।

রংপুর
প্রথম আলো রংপুর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক জহির রায়হান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ, দ্য মিলেনিয়াম স্কুল ও কলেজের প্রভাষক মারুফ হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মিঠাপুকুর উপজেলার আহ্বায়ক মোতাব্বেরুল ইসলাম, নাট্যশিল্পী রাবেয়া আক্তার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিক আবু আজাদ রহমান, স্কুলশিক্ষক মাহমুদা আক্তার প্রমুখ। ধন্যবাদ দিয়ে সমাপনী বক্তব্য দেন প্রথম আলো রংপুরের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমরান আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সংগীতা দাস।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বেতারের ঘোষক আতিকুর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব জাহিদ হোসেন, ব্যাংক কর্মকর্তা ফিরোজ মো. ফারুক, সংগীতশিল্পী রওশন আরা সোহেলী, জাহাঙ্গীর কবির, শিক্ষক হোসাইন আল মামুন।

মাগুরার সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সুধী সমাবেশে সংগীত পরিবেশন করেন বন্ধুসভার সদস্যরা

মাগুরা
মাগুরার সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সুধী সমাবেশে মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯৮ সালে প্রকাশের প্রথম দিন প্রথম আলো পড়েই আগ্রহ তৈরি হয়। এর পর থেকে নিয়মিতভাবেই প্রথম আলো পড়ি। বাসার অন্যদেরও পড়তে অনুপ্রাণিত করি। প্রথম আলো বঞ্চিত মানুষের কথা বলে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে। আশা করি, সামনেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে পত্রিকাটি।’

সমাবেশে শ্রীপুর উপজেলার হাট দ্বারিয়াপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমাম হোসেন বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা থেকে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এসেও সেই গণতন্ত্রের জন্য জুলাই–আগস্টে হাজারো মানুষ শহীদ ও হতাহত হয়েছেন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে প্রথম আলো ক্ষমতার বিরুদ্ধে গিয়ে সত্য প্রকাশ করেছে। সামনে প্রথম আলো আরও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে যেন আবারও বাংলাদেশে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা না পায়।

অনুষ্ঠানে জুলাই–আগস্টে মাগুরায় নিহত শহীদদের স্মরণ করেন বক্তারা। এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের একজন টিপু সুলতান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় মাগুরায় প্রথম আলো অনেক সাহসী ভূমিকা রেখেছে। আশা করি, সামনে নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সামনেও তাঁরা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। কারণ, আমাদের মনে রাখতে হবে একটা সুন্দর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা থেকেই গত জুলাই–আগস্টে আমাদের অনেক ভাইবোন জীবন আত্মদান করে গেছেন।’

বন্ধুসভার সদস্যদের সহযোগিতায় আয়োজিত এ সুধী সমাবেশে জেলার ১০ জন শিক্ষককে প্রথম আলো ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখোর পক্ষ থেকে সম্মাননা জানান হয়। একই সঙ্গে বন্ধুসভার একটি ভালো কাজে (সদর উপজেলার ছোনপুর গ্রামের মাঠের রাস্তায় ২০০ জারুল ও ২০০ কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ) সহযোগিতা করায় ছোনপুর যুব সংঘকে সম্মাননা জানান হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সুরসপ্তক নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মাগুরা প্রতিনিধি কাজী আশিক রহমান। সমাপনী বক্তব্য দেন বন্ধুসভার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাজাহারুল ইসলাম।

লক্ষ্মীপুর
বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি জেড এম ফারুকী বলেছেন, ‘অনেক গণমাধ্যম বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতজানু ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু প্রথম আলো কারও থেকে সুবিধা নেয়নি, কাউকে ছাড়ও দেয়নি। এ কারণে ক্ষমতায় যারাই থেকেছে, তারাই প্রথম আলোকে শত্রুর মতো দেখেছ। আর এই কারণেই আমরা আস্থা পাচ্ছি।’ লক্ষ্মীপুর বন্ধুসভা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি এ বি এম রিপন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা সাহিত্য সংসদের সভাপতি সালাউদ্দিন শরীফ, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী নূর মোহাম্মদ, জেলা সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন বন্ধুসভার বন্ধু রাহাত হোসেন।

যশোর
যশোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে যশোর বন্ধুসভার সভাপতি মুরাদ হোসেন ও সদস্য সাদিয়া তাবাসসুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কেশবপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এইচ এম জিল্লুর রশীদ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন, শহরের ডা. আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেন, তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহনাজ পারভীন, প্রথম আলোর প্রতিনিধি মাসুদ আলম, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহদাৎ হোসেন, যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোয়াইব হোসেন, সরকারি সিটি কলেজের প্রভাষক আবদুর রহিম। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন যশোর বন্ধুসভার সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।

কথামালা, গান ও কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী বন্ধুসভার বন্ধু আখলাক ইসলাম তামিম, কবিতা আবৃত্তি করেন বন্ধুসভার বন্ধু মনিরা খাতুন ও আনুশেহ আরাবী সকাল।

ফেনী
বিকেলে শহরের মিজান রোডের ভাষাশহীদ সালাম কমিউনিটি সেন্টারে প্রথম আলো ফেনী বন্ধুসভার উপদেষ্টা সভাপতি আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ফেনী ইউনির্ভাসিটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক তায়বুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মলয় কান্তি চক্রবর্তী, ফেনী সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, ফেনীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মীর হোসেন, ফেনী চেম্বার অব কর্মাসের সহসভাপতি জাফর উদ্দিন, সুশানের জন্য নাগরিক সুজনের ফেনী জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পার্থ পাল চৌধুরী, সামাজিক সংগঠন বন্ধুর বন্ধনের সভাপতি সাফায়েত উল্যাহ, শিশুরোগবিশেষজ্ঞ সুশান্ত বড়ুয়া, প্রথম আলো পাঠকদের পক্ষে সমর দাস। ফেনী বন্ধুসভার সভাপতি বিজয় নাথ ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ফেনী প্রতিনিধি আবু তাহের।

রাজবাড়ী
রাজবাড়ী শহরে অবস্থিত জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বন্ধুসভার সদস্য নাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজবাড়ী বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো প্রতিনিধি এম রাশেদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইয়ুব আলী সরদার, রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম দাশ, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোহাম্মদ জহুরুল হক, জেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকির শাহাদত হোসেন, রাজবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হেলাল মাহমুদ। সমাপনী বক্তব্য দেন রাজবাড়ী বন্ধুসভার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি চৌধুরী ইমরুল আহসান। আলোচনার ফাঁকে চলে সংগীত পরিবেশন করেন রাজবাড়ী বন্ধুসভার সদস্য আবদুল জব্বার ও কানিজ ফাতিমা।

কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের করমলি এলাকায় মডার্ন প্রি-ক্যাডেট স্কুল প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়

বাগেরহাট
বাগেরহাট শহরের এসি লাহা টাউন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘প্রথম আলো কেবল ভালো পত্রিকাই নয়, নীতি-নৈতিকতা মেনে সাংবাদিকতার পাশাপাশি তারা নানা কার্যকমের মাধ্যমে আমাদের তরুণদের এগিয়ে নিচ্ছে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নির্মাণে কাজ করছে। তাদের কাছে দুটি বড় অস্ত্র আছে। তা হলো সত্যের পথে চলা তাদের সাহসী কলম আর পাঠক। প্রথম আলো সামনের দিনগুলোতেও দেশের অপশক্তি, দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে যাবে এবং সত্য প্রকাশে অবিচল থাকবে, এটাই প্রত্যাশা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ চৌধুরী আবদুর রব, প্রবীণ শিক্ষক মধুসূদন সোম, প্রথম আলোর বাগেরহাট প্রতিনিধি ইনজামামুল হক, বাগেরহাট বন্ধুসভার সহসভাপতি মাহমুদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া আফ্রিন। এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথম আলো বন্ধুসভা অম্বিকা চরণ (এসি) লাহা টাউল প্রাঙ্গণে শিশু চিত্রাঙ্কন উৎসবের আয়োজন করে। এতে শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক পর্যায়ের দুই শতাধিক শিশুশিক্ষার্থীর অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে তিন বিভাগে তিন জন করে নয়জনকে পুরস্কার এবং সব অংশগ্রহণকারীকে শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়। পুরস্কার বিজয়ীরা হলো ‘ক’ বিভাগে (প্রাক্‌-১ম শ্রেণি) মাসফি গাজী, আরোহী, তপদ্যূতি দাস; ‘খ’ বিভাগে (২য়-৩য়) হিল্লোল হাওলাদার, উষশি দাস, আরাধ্যা এবং ‘গ’ বিভাগে (৪র্থ-৫ম) নিয়ামুল খান, জিনিয়া জান্নাত ও শ্রেয়া মণ্ডল।

টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিকেল সাড়ে চারটায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সুশাসনের জন্য নাগরিক টাঙ্গাইল শাখার সহসভাপতি বাদল মাহমুদ বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবিলা করে প্রথম আলো এগিয়ে চলছে। বিভিন্ন সময় চাপ এসেছে প্রথম আলোর ওপর। কিন্তু প্রথম আলো কখনো সত্য প্রকাশে পিছনা হয়নি। প্রথম আলো বিস্তৃত হোক, বিকশিত হোক, শত বছর টিকে থাকুক। টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি মাহমুদ কামাল বলেন, সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে প্রথম আলোকে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। সব কিছু অতিক্রম করে প্রথম আলো তার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। প্রথম আলো কখনো সত্য প্রকাশ থেকে বিরত হয়নি।

আরও বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক মীর নাসিমুল ইসলাম, প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা জিনিয়া বখ্শ, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচিত্র নির্মাতা রিয়াজুল মওলা। সঞ্চালনা করেন টাঙ্গাইল বন্ধুসভার সভাপতি আবু আহমেদ শেরশাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো টাঙ্গাইলের নিজস্ব প্রতিবেদক কামনাশীষ শেখর। সংগীত পরিবেশন করেন লিজু বাউলা ও দীপা সরকার। নৃত্য পরিবেশন করেন জান্নাতুল মুনতাহা। কবিতা আবৃত্তি করেন জান্নাতুল তাহলীল লাবণ্য।

চট্টগ্রামের পটিয়া
সকাল ১০টায় পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে শিশুশিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ণাঢ্য আয়োজন করে প্রথম আলো পটিয়া বন্ধুসভা। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সূচনা করা হয়। বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো পটিয়া প্রতিনিধি আবদুর রাজ্জাক। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পটিয়ার প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৌলানা আমির হোসেন, শিক্ষক শ্যামল দে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রিদোয়ান সিদ্দিকী, পটিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম, বন্ধুসভার সভাপতি মানবেন্দ্র ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় আজ শনিবার বিকেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রথম আলো বন্ধুসভা। বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক রহিমা সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আলোর প্রতিনিধি সাজিদ হোসেন। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান, ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মো. মেশকাত চৌধুরী। বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বন্ধুসভার বন্ধুদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিজয়ী তিনজন বন্ধুকে বই উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন্ধুসভার সভাপতি তুহিনুজ্জামান।

ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমি ফ্যাসিস্ট সরকার ও ক্যাম্পাসের নানা অনিয়ম, অত্যাচার ও ছাত্রলীগের নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা করেছি। প্রথম আলো আমার সঙ্গে ছিল বলেই আমি এত সাহস দেখাতে পেরেছি। সরকারবিরোধী অনেক লেখা অন্য কোনো পত্রিকা ছাপানোর সাহস দেখাত না। কিন্তু প্রথম আলো সেগুলো সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছে। প্রথম আলো জনগণের সঙ্গে থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতা ও সততার সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে। এটাই প্রথম আলোর বড় শক্তি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দমন-পীড়ন করে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে দেয়নি, কিন্তু এ সময় প্রথম আলো বিরোধীদলীয় রোল প্লে করেছে। সরকারের ভুল কাজের সমালোচনা করেছে। এই সময়ে প্রথম আলোকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।’

আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রথম আলো সংবাদ তৈরি করার পাশাপাশি লেখক ও পাঠক তৈরি করে। প্রথম আলো অন্য পত্রিকাগুলোর ‘মাস্টারমাইন্ড’ বা পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। গোলাম কিবরিয়া মো. মেশকাত চৌধুরী বলেন, গত ২৬ বছরে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন ছিল প্রথম আলো। মানুষের অধিকার আদায়ে সব সময় কথা বলেছে পত্রিকাটি। রাষ্ট্র সঠিক পথে চলছে কি না, সেটিরও সমালোচনা করে যাচ্ছে প্রথম আলো। বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম আলো আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে—এটাই প্রত্যাশা।