আজ সকাল আটটার দিকে হরতালের পক্ষে মিছিল বের করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপি। মিছিলটি চকবাজার এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা শুরু করে
আজ সকাল আটটার দিকে হরতালের পক্ষে মিছিল বের করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপি। মিছিলটি চকবাজার এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা শুরু করে

কুমিল্লা শহরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ৭

কুমিল্লা নগরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল আটটার দিকে নগরের চকবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বিএনপির সাত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল আটটার দিকে নগরের চকবাজার এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ ওরফে ইয়াছিনের নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিলটি চকবাজার চৌরাস্তার পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময়ে মিছিলকারীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর আশপাশের এলাকা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করেন তাঁরা। তখন পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আক্কাস, সাবেক সদস্য রেজাউল হকসহ সাতজন নেতা-কর্মীকে আটক করে।

মিছিল ছত্রভঙ্গ হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কুমিল্লা নগরের চকবাজার এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে যান। সেখান থেকে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ বলেন, ‘বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের হামলায় আমাদের ১৪ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। দলের কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।’

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আক্কাস, সাবেক সদস্য রেজাউল হকসহ সাতজন নেতা-কর্মীকে আটক করে

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করেছেন। এতে একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।