নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় গৃহবধূ হাফসা আক্তারের (৩৫) শরীরে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় মামলাটি করেন। এতে তাঁর স্বামী হুমায়ুন কবিরকে (৩৮) একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
হুমায়ুন কবিরের বাড়ি উপজেলার মাসকা গ্রামে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণজাত গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর শরীরে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপের অভিযোগ ওঠে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৭ বছর আগে একই উপজেলার ব্রাহ্মণজাত গ্রামের হাফসার সঙ্গে মাসকা গ্রামের হুমায়ুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের সন্তান না হওয়াকে কেন্দ্র করে দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। বিভিন্ন সময় হুমায়ুন স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ আছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিসও হয়। এসব কারণে গত কোরবানি ঈদের পরদিন স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যান হাফসা। পরে গত বৃহস্পতিবার হুমায়ুনকে তালাকের নোটিশ দেন হাফসা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মুঠোফোনে তাঁকে অ্যাসিড নিক্ষেপসহ মেরে ফেলার হুমকি দেন হুমায়ুন।
গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে হাফসা ঘরে বসে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় হুমায়ুন হঠাৎ একটি সিরিঞ্জে করে তাঁকে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মারেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে হাফসা ওই হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তাঁর গলা ও মুখ পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় গতকাল রাত ৯টার দিকে হাফসা বাদী হয়ে মামলা করেন।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এনামুল হক আজ রোববার সকালে মুঠোফোনে বলেন, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গৃহবধূর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে; সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে।