কিশোরগঞ্জের হাওরে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জের হাওরে নেমে মারা যাওয়া আবিদুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের হাওরে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মরদেহ প্রায় ২১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার হাসনপুর হাওরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আবিদুর রহমান (২৩)। তিনি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মোবারকখীল গ্রামের অধ্যাপক সারওয়ার জামান খানের ছেলে।

বর্ষায় এ রকম নৌকা ভাড়া করে পর্যটকেরা কিশোরগঞ্জের হাওরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে নৌকা থেকে বিপজ্জনকভাবে অনেকেই হাওরের পানিতে নামছেন। এতে ঘটছে প্রাণহানি। শনিবার নিকলী হাওরের বেড়িবাঁধ এলাকায় তোলা

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আবিদুর রহমান ঢাকার উত্তরায় থেকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পঞ্চম সেমিস্টার) পড়ালেখা করতেন। সেখান থেকে ৯ বন্ধু মিলে কিশোরগঞ্জে হাওরে বেড়াতে আসেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার হাসনপুর সেতু এলাকায় নৌকা থেকে হাওরের পানিতে নামলে তলিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ ২১ ঘণ্টা পর আজ বেলা দুইটার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি পরে করিমগঞ্জ থানা-পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান মরদেহ হস্তান্তরের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হাওরের প্রতিটি জায়গায় প্রশাসন থেকে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। সেখানে সাঁতার না জানলে কেউ যাতে পানিতে না নামেন, সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও অনেকেই বর্ষার সময়ে হাওরে ঘুরতে এসে পানিতে নেমে দুর্ঘটনার শিকার হন, যা খুবই দুঃখজনক। তাই সবাইকে এ বিষয়ে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।