বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজছাত্র হত্যার সন্দেহে র্যাবের হাতে আটক আসামিকে ভাঙচুরের মামলায় আদালতে চালান দিয়েছে পুলিশ। এ বিষয় নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে র্যাব-১৪। এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহে। গত রোববার রাতে কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে মানিক মিয়া (২৮) নামের আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে হস্তান্তর করে র্যাব। আজ সোমবার তাঁকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কলেজশিক্ষার্থী রেদোয়ান হোসেন (সাগর) হত্যা মামলায় সন্দেহজনক আসামি হিসেবে মানিক মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করে র্যাব। মানিক মিয়া সদরের মধ্য বাড়েড়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত জুলাই-আগস্টে সারা দেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রতিরোধে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করেন মানিক মিয়া। গ্রেপ্তার হওয়া মানিক মিয়া ছাত্র আন্দোলনে নিহত রেদোয়ান হোসেন হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি। আসামিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার জন্য ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে ভাঙচুরের মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির বাদী ছিল পুলিশ। আমরা একটি মামলাতেই তাঁকে চালান দিয়েছি, কোনো হত্যা মামলায় দেওয়া হয়নি।’
মানিক মিয়াকে কলেজছাত্র রেদোয়ান হোসেন হত্যার সন্দেহভাজন আসামি বলছে র্যাব—এ প্রসঙ্গে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তারা দিয়েছে, আমরা যাচাই–বাছাই করেছি। আমরা তো আইন প্রয়োগ করার দায়িত্বে। রেদোয়ান হত্যা মামলায় তিনি এজাহারনামীয় আসামি নন। আমরা আলোচনা করে তাঁকে ওই মামলায় (ভাঙচুরের) চালান দিয়েছি।’
কলেজছাত্র রেদোয়ান হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত করছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। জেলা ডিবির ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলায় আজ সোমবার কোনো আসামিকে আদালতে চালান দেওয়া হয়নি।