সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার অন্তখালী মুন্ডাপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন সুধীজনেরা। আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রংয়ের নেতৃত্বে একটি দল আজ সোমবার বিকেলে মুন্ডাপাড়া পরিদর্শন করেন। পরে সেখানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নরেন্দ্র মুন্ডার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এই দলে ছিলেন সঞ্জীব দ্রংয়ের সহধর্মিণী মিতালী থিসিম, কপেন ফাউন্ডেশনের সদস্য পল্লব চাকমা, এলএআরটি প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক সাজ্জাত হোসেন, সাংবাদিক হাসান হাবিব, আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা ও প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামী।
মতবিনিময় সভায় সঞ্জীব দ্রং বলেন, মুন্ডাপাড়ার মানুষকে আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তাঁদের শিক্ষিত হতে হবে। নিজের সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবাইকে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিকভাবে শাণিত করতে হবে। তাঁদের জমি রক্ষায় আইনি লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
১৯ আগস্ট জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মুন্ডাপল্লিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ চারজন আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন আহত নরেন্দ্রনাথ মুন্ডার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে শ্যামনগর থানায় মামলা করেন ফণীন্দ্র নাথ মুন্ডা।
নিহত নরেন্দ্রনাথ মুন্ডার ভাইপো ফণীন্দ্র নাথ মুন্ডা বলেন, ঢাকা থেকে আসা বিশিষ্টজনেরা তাঁদের জমি কীভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে, তা জানতে চান। একপর্যায়ে ১৯ আগস্ট সকালে তাঁদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনার বর্ণনা শুনে আঁতকে ওঠেন। হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় আওয়ামী লীগ জানতে পেরে তাঁরা হতাশ হন। ঘটনার ১১ দিন পরও ফণীন্দ্র মুন্ডা হত্যা মামলার মূল আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
পরে সুধীজনেরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে মুন্ডাদের সার্বিক সহায়তা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় সঞ্জীব দ্রং নিহত ও আহত পরিবারদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন। মঙ্গলবার দলটি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মুন্ডা সম্প্রদায়ের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।