পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাগড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে এক তরুণকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া-বর্মতল সীমান্ত এলাকার ৭৫৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার তরুণের নাম শান্ত ইসলাম (২৪)। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কেরানীগঞ্জ এলাকার মৃত হালিম ব্যাপারীর ছেলে। তিনি দরজির দোকানের কর্মী।
বিজিবি জানায়, গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঘাঘড়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা ঘাগড়া-বর্মতল সীমান্ত এলাকার ৭৫৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা সংবাদ পান, ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য এক বাংলাদেশি তরুণ ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বর্মতল এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে বিজিবির একটি দল বর্মতল এলাকায় শূন্যরেখার প্রায় ৩০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে মানব পাচারকারী ইউসুফ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শান্ত ইসলামকে আটক করে। বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শান্ত ইসলাম বলেন, তিনি ৩২ হাজার টাকার বিনিময়ে আলম, ইউসুফসহ মোট ছয়জন দালালের সহায়তায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে তাঁকে আটকের সময় ঘটনাস্থলে ওই দালালদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঘাগড়া কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. রহমতুল কবীর বাদী হয়ে শান্ত ইসলামসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন। পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রঞ্জু আহাম্মেদ বলেন, ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় শান্ত ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁকে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে। মামলার অপর ছয় আসামি পলাতক আছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, অনুপ্রবেশ রোধে ৫৬ বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে।