কক্সবাজারের চকরিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লেগুনার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই নারীসহ অন্তত তিনজন। আজ শনিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে উপজেলার হারাবাংয়ের ১২ নম্বর ব্রিজ এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং কলাতলী এলাকার আবুল বশরের ছেলে মোহাম্মদ হামিদ (৩২), একই এলাকার দানু মিয়ার ছেলে নজরুল মিয়া (২৮) এবং লাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২২)। তাঁদের মধ্যে মোহাম্মদ হামিদ ও নজরুল মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত তিনজনই নির্মাণশ্রমিক। তাঁরা কাজের উদ্দেশ্যে লেগুনাটিতে চকরিয়া থেকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যাচ্ছিলেন।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ রুবেল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিজিবির বাসটি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত ক্যাম্প থেকে কক্সবাজারে আনন্দভ্রমণে যাচ্ছিল। হারবাংয়ের ১২ নম্বর ব্রিজ এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লেগুনায় বাসটির পেছনের অংশের ধাক্কা লাগে। এতে লেগুনাটি মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ২০ ফুট গভীর খাদে পড়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই লেগুনার দুই যাত্রী নিহত হন। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
লোহাগাড়া সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো.তৌহিদ প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে চারজনকে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন মারা গেছেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মো. রাসেল (৩৫) ও মায়াবী আক্তার (১৩) নামের দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নূর আয়েশা নামে এক নারী ভর্তি রয়েছেন।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক খোকন কান্তি রুদ্র প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও লেগুনা পুলিশ জব্দ করেছে। নিহত ব্যক্তিদের লাশ পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।