ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বেধড়ক পিটুনি দেয়। ওই সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জিলা স্কুল ও পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঢুকে পড়েন। পরে পুলিশ ওই দুটি স্কুলে ঢুকে আন্দোলনকারীদের পিটুনি দেয় ও আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে স্কুল-কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের দিকে এগোতে চাইলে সাঁজোয়া যানসহ পুলিশের সদস্যরা তাঁদের বেধড়ক পিটুনি দেয়।
ন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে ইট ছুড়ে মারেন। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা স্টেশন রোড ধরে দৌড়ে পালাতে যান, এ সময় কেউ কেউ ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। পুলিশ পরে ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অনেকের মাথায় হেলমেট এবং হাতে কাঠ ও লোহার পাইপ ছিল।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকায় জড়ো হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেদিকে ছুটে যান। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর পাথর ছুড়তে থাকেন। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাহিদ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন করতেই পারেন, এটা তাঁদের অধিকার। তবে তাঁদের মধ্যে ঢুকে গেছে জামায়াত–শিবির। তারা ছাত্রদের বিভ্রান্ত করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে সরকার পতনের অ্যাজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এ কারণে তাঁরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ছাত্রদের লাঠিপেটা করার অভিযোগ অস্বীকার করে সাহিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বরং তাঁদের ইট ছোড়ায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন আঘাত পেয়েছেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে তবে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সে সংখ্যা জানাতে পারেননি।