১৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাঠের আগুন

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে ভাঙা কাঠের স্তুপে শনিবার আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে কাঠ
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভেতরে লাগা আগুন প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গতকাল শনিবার রাত তিনটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে পুড়ে গেছে ব্যবহার অনুপযোগী অন্তত ১৫০ টন ভাঙা কাঠ। এর আগে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের স্থাপনা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে খোলা জায়গায় এই ভাঙা কাঠের স্তূপে এ আগুন লাগে।

ভাঙা কাঠের স্তূপে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস ও কোল পাওয়ারের চেষ্টায় আগুন থেকে রক্ষা পায় অন্তত সাড়ে চার কোটি টাকার ভাঙা কাঠসহ বিভিন্ন মালামাল। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পাশাপাশি আগুন লাগার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

কোল পাওয়ারের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলফাজ উদ্দিন জানান, প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের ভেতরে নির্মাণকাজ করার সময় বিভিন্ন সাইট থেকে ব্যবহার অনুপযোগী ভাঙা কাঠসহ বিভিন্ন পরিত্যক্ত মালামাল সরিয়ে নিয়ে পূর্ব দিকে তিন কিলোমিটার দূরে খোলা জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ কাঠের স্তূপে আগুন ধরে। একপর্যায়ে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পাশাপাশি কয়েক শ শ্রমিক নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড ও বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। মহেশখালী, চকরিয়া ও পেকুয়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। শনিবার রাত তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনো ক্ষতি হবে না বলে কোল পাওয়ারের মাতারবাড়ী কার্যালয়ের দায়িত্বরত তত্ত্বাবধায়ক (প্রকৌশলী) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মজুমদার জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক সোয়াইভ হোসেন মুন্সী বলেন, আগুনে অন্তত দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের চেষ্টায় বড় ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।