ভোলার মেঘনা নদীতে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনার সময় জেলেদের হামলার শিকার হয়েছেন সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তাসহ সাতজন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান পরিচালনার সময় মৎস্য ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন ওরফে সকেট বাহিনী তাঁদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তাঁরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আহত ব্যক্তিরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জামাল উদ্দিনের লোকজন আগেও দৌলতখান মৎস্য কর্মকর্তার ওপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তবে জামাল উদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ভোলা জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাটকা সংরক্ষণের নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮–১০ জনের একটি দল মেঘনার ধনিয়া-কাচিয়া জলসীমানায় অভিযান চালান। এ সময় জাটকা ধরতে মশারি জাল পাতা দেখেন তাঁরা, সেটা মৎস্য ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিনের মালিকানাধীন। সেই জাল অপসারণ করতে গেলে জামাল উদ্দিনের ভাগনে মো. শাহিনের নির্দেশে ৪০–৫০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মৎস্য কর্মকর্তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় সাতজন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ভোলা সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল ইসলাম, ক্ষেত্র সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম, ফিশ গার্ড মো. জাফর, তথ্যসংগ্রহকারী মো. তানজিল, মফিজুল ইসলাম মাঝি, জামালউদ্দিন মাঝি ও জাকির মাঝি।
ভোলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাইমুল ইসলাম বলেন, ক্ষেত্র সহকারী রফিকুল ইসলামের অবস্থা সংকটাপন্ন। ছয়টি সেলাই লেগেছে। বাকিদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ বলেন, তাঁদের তদন্ত চলমান। জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, মশারি জালের জেলেরা মৎস্য কর্মকর্তার ওপর হামলা চালালে তাঁর ভাগনে ছাড়িয়ে দিয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের বক্তব্য, শাহিনের নির্দেশে এ হামলা হয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে জামাল উদ্দিন বলেন, ‘তাহলে আমি জানি না। কে বা কারা মৎস্য কর্মকর্তার ওপর হামলা করেছে জানি না।’