ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফী বিন কবিরের ব্যবহৃত সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রতারক চক্র। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে বিষয়টি বুঝতে পেরে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ইউএনও।
থানায় জিডি করার পাশাপাশি ইউএনও জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলে আজ বেলা ৩টা ৫৪ মিনিটের দিকে তাঁর মুঠোফোন নম্বরটি ক্লোন করার ঘটনা জানান। মিডিয়া সেলে এ–সংক্রান্ত বার্তা দিয়ে বলেন, ‘আমার নম্বর ক্লোন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ জানাচ্ছি। সন্দেহজনক কোন ফোন এলে সেটিকে রিপোর্ট করুন।’
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ আলম বলেন, ‘আজ বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইউএনওর নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। আমাকে বলা হয়, আপনি কোথায়, এখানে বড় ব্যবসায়ী কতজন আছেন। সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী কে। ওই ব্যবসায়ীর কাছে থেকে দুই লাখ টাকা এনে আমাকে বিকেল চারটার মধ্যে দেবেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও কাফী বিন কবির বলেন, ‘আজ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ছিলাম। কয়েক ঘণ্টা পর আমার সরকারি মুঠোফোনে কল করে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, “স্যার, আপনার নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে আপনার পরিচয় দিয়ে ডিলার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে বলা হয়েছে। এক ব্যবসায়ীর নাম দিয়ে বিকেল চারটার ভেতর তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে আপনাকে দিতে বলা হয়েছে।”’
ইউএনও আরও বলেন, ‘উপজেলা খাদ্য পরিদর্শকের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার পর বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাই। পরে নগরকান্দা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। পাশাপাশি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছি।’
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফর আলী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি মুঠোফোন ক্লোনের বিষয়ে তিনি থানার সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশের আইটি দল বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।