এক দিনেই পরীক্ষা ও আঙুলের ছাপ, ড্রাইভিং লাইসেন্স পৌঁছে যাবে বাড়িতে

এক দিনে আঙুলের ছাপ ও পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রত্যাশীরা। আজ রোববার সকালে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার যুব উন্নয়ন কেন্দ্র গাজীপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে
 ছবি: প্রথম আলো

এক দিনেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা এবং বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) দেওয়ার নতুন কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাজীপুর সার্কেল। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আবেদনকারীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে লাইসেন্স।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জেলা পর্যায়ে এ কার্যক্রম চালুর ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসানের আশা করছেন লাইসেন্সপ্রত্যাশী ও বিআরটিএ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

আজ রোববার সকালে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার যুব উন্নয়ন কেন্দ্র গাজীপুরে বিআরটিএ অফিসে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিআরটিএ গাজীপুর সার্কেলের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম। এদিন সকাল থেকেই আবেদনকারীরা বিআরটিএ অফিসে ভিড় জমিয়েছেন। এক দিনে আঙুলের ছাপ ও পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রত্যাশীরা।

এক দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও আঙুলের ছাপ দিচ্ছেন লাইসেন্সপ্রত্যাশীরা

গাজীপুর মহানগরীর সামান্তপুর গ্রামের মইনুল ইসলাম বলেন, বছরের পর বছর ঘুরেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায় না। প্রতিদিন বিআরটিএ অফিসে লাইসেন্সপ্রত্যাশী শত শত মানুষ ভিড় করেন। আজ মাত্র ২ মিনিটে আঙুলের ছাপ নিয়ে নিলেন, কোনো ভোগান্তি হলো না।

লাইসেন্সপ্রত্যাশী মানুষ ও বিআরটিএ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগে পেশাদার লাইসেন্স পেতে পরীক্ষা নেওয়ার ১৫ দিন পর দেওয়া হতো ফলাফল। এরপর ৭ থেকে ১০ দিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়। সপ্তাহখানেক পর নেওয়া হতো আঙুলের ছাপ। এরপর বছরের পর বছর ঘুরেও মিলত না ড্রাইভিং লাইসেন্স। এখন এক দিনে আঙুলের ছাপ, পরীক্ষা নেওয়াসহ সব কার্যক্রম শেষ করে ১৫ দিনের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত হয়ে যাবে। এ লাইসেন্স আবেদনকারীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা ইয়াসিন আরাফাত বলেন, দুর্ভোগ আর ভোগান্তির অপর নাম বিআরটিএ অফিস। টাকা বা দালাল ছাড়া মেলে না ড্রাইভিং লাইসেন্স। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত সত্যি দারুণ ও যুগান্তকারী।

বিআরটিএ গাজীপুর সার্কেলের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম বলেন, আগে পরীক্ষার্থীদের বিআরটিএ অফিসে একাধিকবার আসতে হতো। এখন একবারই আসবেন লাইসেন্সপ্রার্থী। এক দিনে লাইসেন্সপ্রার্থী ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দেবেন এবং একই দিনে বায়োমেট্রিক দিয়ে চলে যাবেন। এতে গ্রাহকসেবার মান বাড়বে। বায়োমেট্রিক একবারের জন্যই নেওয়া হবে। কিন্তু যিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় ফেল করবেন, তাঁকে পুনরায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে। পরে তাঁর আর কোনো বায়োমেট্রিক দিতে হবে না।