নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় শিক্ষা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে লোহাগড়া পৌরসভার মাইটকুমড়া এলাকায় ঢাকা-যশোর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
নিহত কর্মকর্তার নাম মো. রিফাতুল ইসলাম (৩৮)। তিনি লোহাগড়া পৌরসভার কুন্দশী গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে। গোপালগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে সহকারী পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
দুর্ঘটনায় আজাদ মিয়া নামের বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের আরেক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে কর্মরত। দুর্ঘটনায় তাঁর ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। আহত আজাদ মিয়া উপজেলার দোয়ামল্লিকপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে। ওই মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী জিকু মিয়া (২৬) অক্ষত আছেন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি মোটরসাইকেলে ওই তিনজন গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া মোড়ে যাচ্ছিলেন। পথে নড়াইলগামী যাত্রীবাহী সোহাগ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। নিহত রিফাতুল ইসলাম মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন। আজাদ মিয়া মোটরসাইকেলের মাঝে ও জিকু মিয়া পেছনে বসা ছিলেন। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। রিফাতুলকে ঘটনাস্থল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই মোটরসাইকেলের আরোহী জিকু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আজাদ মিয়া ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য তাঁকে ঢাকার বাসে তুলে দিতে তাঁরা তিনজন মোটরসাইকেলে ভাটিয়াপাড়া মোড়ে যাচ্ছিলেন। আজাদ মিয়া নিহত রিফাতুলের মামা। আজাদের বড় ভাই হেলাল মিয়া জানান, আজাদের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন প্রায় এক ঘণ্টা ওই স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে ঢাকা-যশোর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের উভয় পাশে অসংখ্য গাড়ি আটকা পড়ে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, সোহাগ পরিবহনের ওই গাড়ির চালককে ধরতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।