ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নগরের উন্নয়ন ও নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে ২৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নগরের উন্নয়ন ও নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে ২৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক

ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন:

অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে আবার ভোট চাইলেন ইকরামুল

অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আবারও ভোট চাইলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক (টিটু)। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নগরের উন্নয়ন ও নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে ২৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে তিনি ভোট প্রার্থনা করেন।

ইশতেহারে যানজট নিরসন ও খাল উদ্ধারে তাঁর চলমান উদ্যোগ দ্রুত শেষ করার কথা বলেন ইকরামুল হক। এ ছাড়া গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) না বাড়িয়ে সেবার মান বৃদ্ধি, ট্রেড লাইসেন্স ফি যুক্তিসংগত ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার কথা বলেন। পাশাপাশি পৌরকরকে আরও সহনীয় করতে নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

ইকরামুল হক বক্তব্যে বলেন, ৪ বছর ৯ মাস আগে তিনি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপরই শুরু হয় করোনা মহামারি। মহামারি শেষ হতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে শুরু হয় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা। এ দুটি কারণে সরকার ব্যয় সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করার কারণে উন্নয়নকাজ কম হয়েছে। তবুও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে বড় ধরনের বরাদ্দ দেন। বর্তমানে সে বরাদ্দের অধীনে ৭০ শতাংশ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। উন্নয়নকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের তিন নেতাসহ মোট পাঁচ প্রার্থী মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা হলেন সদ্য সাবেক মেয়র ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক (টেবিল ঘড়ি প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম (ঘোড়া প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান, কৃষিবিদ রেজাউল হক (হরিণ প্রতীক) ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (লাঙ্গল প্রতীক)।

এর আগে গত সোমবার সাদেকুল হক খান ১৫ দফা ও গতকাল শনিবার এহতেশামুল আলম ২০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন। এই দুই প্রার্থীর ইশতেহারে গৃহকর কমানো, যানজট নিরসনের উদ্যোগসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধার কথা বলা হয়।