রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের স্থগিতাদেশ আবার প্রত্যাহার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় অধিশাখা-২–এর যুগ্ম সচিব মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো নিয়োগে আর কোনো বাধা থাকল না।

মো. পারভেজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আপনারা যে বিজ্ঞপ্তিটি পেয়েছেন, সেটি আমারই স্বাক্ষর করা। এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে।’

২০২০ সালের ১০ ও ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি চিঠি পাঠানো হয়। ওই সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়) নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

অপর একটি চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসারে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৬তম সিন্ডিকেট সভায় নতুন নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে ওই বছরের ১২ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সমুন্নত রাখার স্বার্থে সব ধরনের নিয়োগের স্থগিতাদেশ ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই প্রত্যাহার করা হয়।

তবে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহারের তিন মাস পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে জানায়, নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন মামলা চলমান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেটি গোপন করেই নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করে। তথ্য গোপন করে কেন সেই আবেদন করা হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জারি করা প্রত্যাহার আদেশ স্থগিত করা হয় এবং ওই রিট পিটিশনটি নিষ্পত্তির যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে আজ দুপুরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো নিয়োগে আর কোনো বাধা থাকল না।