ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ দুপুর একটার দিকে স্থলবন্দরের পাশের সড়কে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ দুপুর একটার দিকে স্থলবন্দরের পাশের সড়কে

লংমার্চ নিয়ে আখাউড়ার দিকে যাত্রা করেছে বিএনপি, স্থলবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার

ভারতের আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ লংমার্চ করছে দলটি। লংমার্চটি কিশোরগঞ্জের ভৈরব অতিক্রম করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবেশ করেছে। লংমার্চ ঘিরে জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন দেখা যায়, স্থলবন্দরটির নিরাপত্তার জন্য শুল্ক স্টেশনের প্রধান ফটকের অদূরে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে জেলা পুলিশ। ফলে দুই দেশের যাত্রীদের হেঁটে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টে যেতে হচ্ছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাসপোর্টধারী যাত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছাড়া কাউকে শুল্ক স্টেশন ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ইমিগ্রেশনের সামনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল আটটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লংমার্চ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে সংগঠন তিনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিতে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছেন।

বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, আখাউড়া স্থলবন্দরে পর্যাপ্তসংখ্যক বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি দল রিজার্ভেও রাখা হয়েছে।

জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, লংমার্চকে কেন্দ্র করে স্থলবন্দরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সব বাহিনী প্রস্তুত আছে।