কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পাশে সাগরে মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে আহত হয়েছেন। তাঁর নাম মোহাম্মদ এরশাদ (৪০)। গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটের পূর্ব-দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের বদ্দার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ এরশাদ সেন্ট মার্টিন দ্বীপের গলাচিপা এলাকায় বসবাস করলেও তাঁর গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়িতে। গতকাল সন্ধ্যার দিকে গুলিবিদ্ধ জেলেকে সেন্ট মার্টিন ২০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে টেকনাফে আনা হবে।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেন্ট মার্টিন ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আজিম ও সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সৈয়দ আলম।
ট্রলারের মালিক ও মাঝি আলী জোহার বলেন, ট্রলারে করে ছয় জেলে জেটিঘাটের পূর্ব-দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের বদ্দার এলাকায় মাছ শিকারে যান। এ সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ওই জেলেদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে গুলি চালালে মোহাম্মদ এরশাদ নামের এক জেলের ডান হাতের বাহুতে গুলি লাগে।
এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, সাগরে মাছ শিকারের সময় ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভুলক্রমে মিয়ানমারের জলসীমানার বদ্দার এলাকায় ঢুকে পড়ে ট্রলারটি। ওই সময় নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে জেলেদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে এক জেলে তাতে বিদ্ধ হন। পরে মিয়ানমারের নৌবাহিনী ওই জেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ট্রলারসহ জেলেদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর গভীর সাগরে মাছ ধরার সময় ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এ সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিডবোট থেকে বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা যান মো. ওসমান (৫০)। পরে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়। তখন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদও জানানো হয়।