পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এক শ্রমিকনেতাকে মারধর করে ৬০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে সাতক্ষীরায় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার সাত মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলাটি করেন শহরের রসুলপুরের নারিকেলতলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজনু সরদার।
মামলার আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুরের বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহম্মেদ, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরার অনলাইন নিউজ পোর্টাল সমাজের আলো ডটকমের সম্পাদক ইয়ারব হোসেন ও ঢাকার লালমাটিয়ার বাসিন্দা খোরশেদ আলম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আসামিরা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাদীকে ভিটাছাড়া করাসহ খুন, জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা আবু আহম্মেদের নেতৃত্বে হাবিবুর রহমান, ইয়ারব হোসেন, খোরশেদ আলমসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে করে বাদীর বাড়িতে আসেন। তাঁরা বাদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চান। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাদীকে মারধর করে ঘরে ঢুকে আলমারি থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যান। তাঁরা বাকি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার জন্য বাদীকে মাইক্রোবাসে তুলে দুই চোখ বেঁধে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরান। পরে তাঁকে মেডিকেল কলেজ থেকে ছয়ঘরিয়া মোড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে ফেলে রেখে চলে যান। অনুকূল পরিস্থিতি না থাকায় তখন মামলা করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি বাদীর।
এ ব্যাপারে দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক আবু আহম্মেদ বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সাজানো ও মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। একই কথা বলেন দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান।
এ মামলার প্রধান সাক্ষী করা হয়েছে শহরের মধু মোল্লারডাঙি এলাকার জিয়াউর রহমানকে। তিনি বলেন, তিনি মামলা ও তাঁকে সাক্ষী করার বিষয়টি জানেন না।
সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেনকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।