বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে বের হয়ে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার বেড়াগাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সামনে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে এবং কাথম মোড় এলাকায় একই মহাসড়কের দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন নন্দীগ্রাম উপজেলার দামগাড়া গ্রামের নান্টু মিয়ার ছেলে আল ইমরান (২৬), কল্যাণনগর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে বুলবুল (৩০) এবং গাইবান্ধার গোলাম হোসেনের ছেলে আবিদ হোসেন (২০)।
নিহত আবিদ গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এতে আহত হয়েছেন ইমরানের স্ত্রী, বুলবুলের বন্ধু ও আবিদ হোসেনের মামাতো ভাই। তাঁরা বর্তমানে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হন আল ইমরান। নন্দীগ্রাম থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন ইমরান। অপরদিকে বগুড়া থেকে নন্দীগ্রামের দিকে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন আবিদ হোসেন ও তাঁর মামাতো ভাই। নন্দীগ্রামের বেড়াগাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আবিদ হোসেন মারা যান। মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন ইমরান। তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমরানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবিদের চাচা মিরাজুল ইসলাম বলেন, মামাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের দিন ঘুরতে বের হয়ে দুর্ঘটনায় আবিদ নিহত হয়েছেন। তাঁর মামাতো ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নন্দীগ্রামের কাথম মোড় এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী বুলবুল নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন বুলবুলের বন্ধু মানিক।
হাইওয়ে পুলিশের কুন্দারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।