আদালত
আদালত

সিলেটে অটোরিকশাচালক হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক হযরত আলী হত্যা মামলার ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (চতুর্থ) বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় দেন।

নিহত হযরত আলী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঙ্গলকাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুর এলাকায় বসবাস করে ভাড়ায় থেকে অটোরিকশা চালাতেন। প্রায় ১০ বছর আগে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিনি খুন হন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ঘোষগাউয়ের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম (৩৩), সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ (বর্তমানে শান্তিগঞ্জ) তাইকাপন গ্রামের সুমন আহমদ (২৯), বরুমপুর গ্রামের শিপু মিয়া (২৯), একই গ্রামের জাকারিয়া ওরফে মুন্না (৩০) ও রুহুল আমিন (৩০)। এই পাঁচ আসামি জামিনে ছিলেন। ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখে তাঁরা হাজির হননি। ওই দিন থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী সিএনজিচালিত অটোরিকশাস্ট্যান্ড থেকে ৫ যুবক বিয়ানীবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত আলীর সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ভাড়ায় নেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিয়ানীবাজারের শিকপুর-বিয়ানীবাজার সড়কের  পুরুষপাল এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা হযরত আলীকে থামান। যাত্রীবেশী ওই ছিনতাইকারীরা হযরত আলীকে ছুরিকাঘাত করে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে তাঁদের আটক করেন স্থানীয় লোকজন। পরে হযরত আলীকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শুকুর আলী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর আদালতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আবদুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালত অভিযুক্ত পাঁচজনকেই মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন।