সিলেটে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সড়কে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে অংশ নিয়েছেন সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা। এ ছাড়া সিলেটের জেলা ও মহানগর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলীয় অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটা থেকে সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকরী শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করতে গতকাল সোমবার দুপুরে লাঠি হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এবার লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে রাস্তায় অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা, একাত্তরের ঘৃণিত গণহত্যাকারী রাজাকারদের পক্ষে সাফাই গাওয়া ও আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছেন তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা পৌনে তিনটার দিক থেকে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে চৌহাট্টা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ সময় অনেকের হাতে রামদা, চাকু, বাঁশের লাঠি, লোহার পাইপ, রড, স্টাম্প, কাঠের লাঠি দেখা গেছে। মিছিলে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগরের সভাপতি কিশওয়ার জাহান, সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভকারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘হই হই রই রই, জামাত-শিবির গেলি কই’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এদিকে, আজ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেট ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের যৌথ আয়োজনে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সব ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি সিলেট নগরের কিনব্রিজ এলাকার সারদা হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে সিলেট নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম সভাপতিত্ব করেন এবং সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য দেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল আজাদসহ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
বক্তারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ চাই। জয় বাংলা স্লোগানের বাংলাদেশে রাজাকারের কোনো ঠাঁই হবে না। কোনো যুদ্ধাপরাধীর আস্ফালন দেখতে চাই না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ চাই। আমরা কোনো রক্তাক্ত বাংলাদেশ চাই না। আর দেশবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র হলে সেটি শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।’