নোয়াখালীতে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল সাংবাদিকের

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় দ্রুতগতির একটি বাসের ধাক্কায় এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার রামপুর এলাকায় নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম খোরশেদ আলম সিকদার (৫৫)। তিনি দৈনিক দিনকাল পত্রিকার সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রতিনিধি ও সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। খোরশেদ আলম উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের মো. ইদ্রিসের ছেলে।

দুর্ঘটনার পর বাসটি পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া বাজার থেকে বাসটি জব্দ করা হয়। এ সময় বাসচালক এবং তাঁর সহকারীরা পালিয়ে যান। পরে সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশ বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় খোরশেদ আলম পেশাগত কাজে মোটরসাইকেল চালিয়ে সোনাইমুড়ী বাজার থেকে পাশের চাষিরহাট বাজারে যাচ্ছিলেন। খোরশেদ মোটরসাইকেল নিয়ে সোনাইমুড়ী পৌরসভার রামপুর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি দ্রুতগতির লাল সবুজ পরিবহন পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে খোরশেদ সড়কে ছিটকে পড়লে গুরুতর আহত হন।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন খোরশেদকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাইমুড়ীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা গৌরীপুর বাজার এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।

জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন আর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।