খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় দুর্বৃত্তের হামলায় আহত রবিউল আলম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা ২৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মারা যাওয়া রবিউল ইসলাম দীঘিনালা উপজেলার মেরুং উত্তর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ছিলেন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন রবিউল। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক এম এন আবছার প্রথম আলোকে বলেন, ২০ নভেম্বর বিকেলে দীঘিনালায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রবিউল আলমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তখন রবিউল আলমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তাঁরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। এর পর থেকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন রবিউল। গতকাল বিকেলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে দলীয় লোকজন ও স্বজনেরা তাঁকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুবিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে রবিউল আলম মারা যান।
অভিযোগের বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কাসেম বলেন, জমিজায়গা-সংক্রান্ত পারিবারিক বিষয় নিয়ে মূলত মারামারি হয়। আওয়ামী লীগের লোকজন হামলায় কোনোভাবেই জড়িত না। তাঁরা পারিবারিকভাবে মারামারি করে এখন আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। তিনি হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করেন।
এর আগে ২ ডিসেম্বর অবরোধ চলাকালে গুইমারা উপজেলায় সরকারি চালবাহী ট্রাকে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় দগ্ধ ট্রাকচালকের সহকারী বেলাল হোসেন (৩৫) ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন।