গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার

গোয়ালন্দে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে গিয়ে ট্রলারে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেপ্তার ৪

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে গিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি একনলা বন্দুকসহ চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার আগে দেবগ্রাম ইউনিয়নের অন্তারমোড়ের কাছে পদ্মা নদীতে এ অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের কাঁচরন্দ গ্রামের জীবন মুন্সী (২০) ও নাজির উদ্দিন শেখ (১৯), পাবনার আমিনপুর থানার ঢালারচর গ্রামের খায়রুল মোল্লা (২৩) ও ট্রলারচালক রশিদ সরদার (৫৫)। তাঁরা অন্তারমোড় থেকে ট্রলারে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পাবনার দিকে যাচ্ছিলেন।

অভিযানটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রধান জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিকুল ইসলাম, রাজবাড়ী ক্যাম্পের সেনাবাহিনী দল, দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের সদস্যরা সঙ্গে ছিলেন। এ ছাড়া অভিযানে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জালসহ ৫ জেলেকে আটকের পাশাপাশি ২০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।

ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ইলিশ শিকার, আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। মা ইলিশ শিকার বন্ধে গতকাল যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি পদ্মা নদীতে অভিযান চালায়।

ওই অভিযানের বিষয়ে ইউএনও বলেন, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার অন্তারমোড়ের কাছাকাছি একটি ট্রলারে কয়েকজন পদ্মা পাড়ি দিচ্ছিলেন। মাঝ পদ্মায় ট্রলারটি দেখে ইলিশ পাচার হচ্ছে কি না যাচাই করতে যৌথবাহিনী তল্লাশি চালায়। এ সময় কালো রঙের স্কুলব্যাগ থেকে একটি বিদেশি স্বয়ংক্রিয় পিস্তলের সঙ্গে এক নালা বন্দুকও উদ্ধার করা হয়। পরে অবৈধ অস্ত্র বহনের দায়ে ট্রলারচালকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।

ওই চারজনের বিরুদ্ধে গতকাল রাতেই অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁদের আদালতে পাঠানোর কথা আছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আগ্নেয়াস্ত্র দুটি পাবনার কাশিনাথপুর নিয়ে যাচ্ছিলেন।