সিলেট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটি নিয়ে অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া ওই সদস্যের নাম জুয়েল আহমেদ। তিনি সিলেট এমসি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
২ ডিসেম্বর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল ২৭২ সদস্যের সিলেট জেলা আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন। ওই কমিটির সদস্য ছিলেন জুয়েল। ওই কমিটিকে ‘মুখ দেখে জিলাপি বিতরণের মতো’ দাবি করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জুয়েল।
গত রোববার কমিটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে জুয়েল লেখেন, ‘আমি জুয়েল, স্বজ্ঞানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আজকের পর থেকে অফিশিয়ালি এটার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।’
জুয়েল আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন করা হয়েছে জুলাই বিপ্লব ঘিরে। আলাদা প্রেক্ষাপটে ছাত্র নাম দিয়ে সংগঠন করা হয়েছে। কিন্তু কমিটিতে অনেক অছাত্র রাখা হয়েছে। আবার কমিটির কয়েকজনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। গতানুগতিক অন্যান্য সংগঠনের মতোই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আমার কাছে বিষয়টি সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে। এ জন্য কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’
জুয়েল আহমদ বলেন, ‘পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্রের কয়েকজনকে জানিয়েছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিক পত্র দেওয়া হয়নি। তবে দু–এক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে পত্র প্রেরণ করব।’
সংগঠনের সিলেট জেলার আহ্বায়ক আকতার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পদত্যাগের বিষয়টি তাঁর জানা নেই, তবে শুনেছেন। সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এমন ষড়যন্ত্র হতে পারে। সংগঠনের পদপ্রাপ্তদের মধ্যে কারও জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।