ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জমিলা খাতুন (৪৫) নামের এক গৃহবধুকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আবদুল করিম (৪০) নামের এক প্রতিবেশীও গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতে নারীর স্বজনেরা বলছেন, জমিলা খাতুনকে উত্যক্ত করার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। পরকীয়ার কারণেও এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ। আহত আবদুল করিমকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
জমিলার স্বজনদের ভাষ্য, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে জমিলা খাতুন ঘুম থেকে উঠে শৌচাগারে যান। এ সময় প্রতিবেশী আবদুল করিম তাকে উত্যক্ত করে। এর জের ধরে জমিলা খাতুন পাশে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবদুল করিমের গলায় আঘাত করেন বলে ধারণা তাঁদের। তখন আবদুল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে জমিলা খাতুনকে গলাকেটে ফেলে রেখে যান। ঘটনার পর আবদুল করিম দৌড়ে পাশের বাড়ির দিকে গেলে প্রতিবেশীরা তাঁকে ধরে দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, জমিলা খাতুনের সঙ্গে আবদুল করিমের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। ভোরে আবদুল করিম ওই বাড়িতে যান। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে হতাহতের ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমিলা খাতুনের বাড়িতে প্রতিবেশী আবদুল করিমের যাতায়াত ছিল। সকালে ওই বাড়িতে এসেছিলেন আবদুল করিম। এ সময় ওই নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর পায়েও কোপানো হয়েছে। সঙ্গে আবদুল করিমের গলাও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেওয়া হয়। পরকীয়ার জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে তাঁরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। সব দিক মাথায় রেখে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। আশা করছেন দ্রুতই হত্যার প্রকৃত কারণ বের হবে।