খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাহেন্দ্রর (তিন চাকার গাড়ি) মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কিশোর মারা গেছে। এ ঘটনায় তিন শিশুসহ আহত হয়েছে পাঁচজন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানিকছড়ি উপজেলার গোদারপাড় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনসংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত কিশোরের নাম মো. মাসুদ (১৭)। সে ফটিকছড়ি উপজেলার রোসাংগিরি এলাকার ওহিদুল আলমের ছেলে।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ছয়জন ফটিকছড়ি থেকে মানিকছড়ি যাচ্ছিল। অটোরিকশায় থাকা সবাই একে অপরের আত্মীয়। গোদারপাড় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনসংলগ্ন সড়কে অটোরিকশাটির সঙ্গে চট্টগ্রামগামী একটি মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশায় থাকা মাসুদ ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
দুর্ঘটনায় তাসনুফা আলম (১৪), রুমি আক্তার (১৭), মো. আনাস (৯), ঋতু আক্তার (১৮) ও এনায়েত ইসলাম (১৮) আহত হন। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে উদ্ধার করে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক মাসুদকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ঋতু আক্তার ও এনায়েত ইসলামকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মহিউদ্দীন বলেন, মো. মাসুদকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই সে মারা যায়।
আহত রুমি আক্তার বলেন, ‘মাসুদ আমার আপন চাচাতো ভাই। আমরা ঈদ উপলক্ষে ভাইবোনেরা মিলে চাচাতো বোনের বাড়ি গচ্ছাবিল বেড়াতে যাচ্ছিলাম। পথে দুর্ঘটনায় ভাইকে হারালাম। বাড়িতে কী জবাব দেব, ভেবে পাচ্ছি না।’
মানিকছড়ি থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেন বলেন, অটোরিকশা ও মাহেন্দ্রটি পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। তবে চালকদের কাউকে আটক করা যায়নি। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার বিষয়ে পুলিশ নজরদারি করছে। নিহত কিশোরের সুরতহাল শেষে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।