মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে নতুন করে সমস্যার সূচনা হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ শনিবার বিকেলে রংপুর নগরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির কর্মিসভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘মিয়ানমারের সৈন্যরা যেহেতু ফিজিক্যালি আমাদের দেশে প্রবেশ করছেন, এটা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশ্ন আছে। এ নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা এ বিষয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। যেটাই হোক না কেন, বিষয়টি সরকারের সুস্পষ্টভাবে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা উচিত। তিনি বলেন, ‘এখন যাঁরা দেশে ঢুকছেন, সংখ্যায় খুব বেশি নন। তবে বিগত সময়ে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা দেশে প্রবেশ করেছে। এরপরও যদি প্রবেশ করে কিংবা আসা শুরু হয়; তাহলে আমাদের ব্যাপকভাবে সমস্যা সৃষ্টি করবে। এ জন্যই আমরা বেশি করে উদ্বিগ্ন।’
সংসদের বিরোধী দলের নেতা আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের সৈন্যবাহিনী আমাদের দেশে আশ্রয় নিচ্ছে। অনেক মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে। আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁদের ওপর গোলা এসে পড়ছে। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কয়েকজন মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সবাই উদ্বিগ্ন। তাতে আমরা মনে করি, বাংলাদেশের জন্য নতুন সমস্যার সূচনা হয়েছে, যা দেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়।’ তবে দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
রওশান এরশাদের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘এরশাদ সাহেবের আদর্শ নিয়ে অনেকের দল করার অধিকার আছে। আমরা এ ব্যাপারে কোনো মতামত দিতে চাই না। দল করার অধিকার সবারই আছে। ওনারা করতে চাইলে করতে পারেন। দল করার কতগুলো নিয়ম আছে। তবে এই দলকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নিতে হয়। কতগুলো শর্ত আছে। এগুলো পূরণ করার পরই ওনারা এটার দিকে যেতে পারেন। শুধু কাউন্সিল বললে আইনগতভাবে এটাকে কাউন্সিল বলা যায় না।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘আমি মনে করি, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না। এখন পর্যন্ত সরকার যে কটা পদক্ষেপ নিয়েছে, কোনোটিই কার্যকর হচ্ছে না। টোটালি তারা (সরকার) ব্যর্থ বলে আমি মনে করি।’
এ সময় রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব আবদুর রাজ্জাকসহ জাতীয় পার্টির অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।