বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় প্লাস্টিক দূষণ থেকে পশুর নদ ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন। আজ রোববার সকালে উপজেলার দক্ষিণ কাইনমারিতে সুন্দরবনসংলগ্ন পশুর নদ পাড়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন থেকে বক্তারা সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন।
‘সলিউশন টু প্লাস্টিক পলিউশন’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বাপার মোংলা উপজেলার আহ্বায়ক মো. নূর আলম শেখ, বাপা নেতা নাজমুল হক, কমলা সরকার, শেখ রাসেল, পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের স্বেচ্ছাসেবক আবদুর রশিদ হাওলাদার, চন্দ্রিকা মণ্ডল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকা এখন প্লাস্টিকে সয়লাব। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনের তিনটি প্রধান নদীর অন্তত ১৭ প্রজাতির মাছ ও ৩ প্রজাতির শেলফিশ মাইক্রো-প্লাস্টিকে সংক্রমিত। এসব মাছ খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের খাদ্যশৃঙ্খলে প্লাস্টিক কণা প্রবেশ করবে। পাচনতন্ত্র, লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নারীদের বন্ধ্যাত্বের কারণও হতে পারে এ প্লাস্টিক কণা। তাই সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য সব ধরনের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার এখনই সময়।
বক্তারা আরও বলেন, শুধু সুন্দরবনে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করলে হবে না। সুন্দরবনসংলগ্ন নদ-নদী ও উপকূলীয় এলাকায়ও প্লাস্টিক বন্ধ করতে হবে। প্লাস্টিক দূষণ ও শিল্প দূষণে সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। গ্রিনহাউস গ্যাসের একটি কারণ প্লাস্টিক। এটি তৈরিতে প্রায় ৩৮ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ১২ থেকে ১৮ ধরনের কেমিক্যাল অত্যন্ত ক্ষতিকর। পলিথিনও একবার ব্যবহার্য পণ্যের মধ্যে পড়ে। এটা কোনোভাবে রিসাইকেল হয় না, বরং বর্জ্য উৎপন্ন করে। এখনই পলিথিন ও প্লাস্টিক বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।