বালুর নিচে থরে থরে সাজানো ছিল ভারতীয় চিনি, সাড়ে ৭ টন জব্দ

বালুর ট্রাক থেকে জব্দ করা ভারতীয় চিনির বস্তা। চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা এই চিনি ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। সিলেটের ওসমানীনগর থেকে চালানটি জব্দ করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

অভিনব পন্থায় ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসা সাড়ে সাত টন চিনি নেওয়া হচ্ছিল ঢাকায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ট্রাকটি জব্দ করে তল্লাশি করতে গিয়ে দেখা যায়, বালুর নিচে থরে থরে সাজানো চিনির বস্তা। ভারত থেকে অবৈধ পথে নিয়ে আসা চোরাই চিনিকে সিলেটে ‘বুঙ্গার চিনি’ বলা হয়। গত কয়েক দিনে বুঙ্গার চিনির এমন একাধিক চালান জব্দ করেছে পুলিশ।

সিলেটের ওসমানীনগর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে ৫০ কেজি ওজনের ১৫০ বস্তা চিনিসহ একটি ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। পাশাপাশি চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ট্রাকের চালক সিলেটের জৈন্তাপুরের উত্তর ঘাটেরচটি গ্রামের নিজাম উদ্দিনকে (২৯) আটক করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটায় ওসমানীনগর গোয়ালাবাজারের ইলাশপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে ভারতীয় চিনিভর্তি ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, চোরাচালান প্রতিরোধে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসমানীনগরের সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে তল্লাশিচৌকি বসায় পুলিশ। এ সময় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে বালুর ট্রাক মনে করেছিল পুলিশ। তবে তল্লাশি করতে গিয়ে চিনির বস্তার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর ট্রাকের চালকসহ চিনির চালান জব্দ করা হয়। ট্রাকটি থানায় নিয়ে বালু সরিয়ে দেখা যায়, থরে থরে সাজানো ১৫০টি বস্তা। এ ঘটনায় ট্রাকচালককে আটক করা হলেও চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত জৈন্তাপুরের হরিপুরের সাদিক মিয়া ও কামরুল ইসলাম পালিয়ে যান।

সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট) মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, আটক ব্যক্তি ও পলাতকদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। গ্রেপ্তার নিজাম উদ্দিনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জব্দ করা মালামাল থানায় রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।