গাজীপুরে বৃষ্টির সময় নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলার দেয়াল ধসে পাশের টিনশেড বাড়িতে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন মা, ওই শিশুসহ চারজন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে সিটি করপোরেশনের জরুন এলাকার ফারুক আহমেদের বিল্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে নিচের ১৮টি কক্ষের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
নিহত শিশুটির নাম মো. মুশফিক (৪)। দেয়ালধসে তাঁর মা মোছাম্মৎ মুক্তাসহ (২৫) অন্তত চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বাকিরা হচ্ছেন ওই টিনশেড ঘরের ভাড়াটে মোহাম্মদ রুবেল (৩৫), মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (২৮) ও শহিদুল ইসলাম (২২)।
মুশফিকের বাবার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁদের বাড়ি রাজশাহীতে। জরুন এলাকায় বাচ্চু খানের টিনশেড বাড়িতে তাঁরা ভাড়া থাকেন। দেয়ালধসে মুশফিকের মা মুক্তার বুকের পাঁজর ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন কোনাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত ইমতিয়াজ। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এসেছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় ফারুক আহমেদের পাঁচতলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। গতকাল রাত পৌনে একটার দিকে বৃষ্টির সময় তৃতীয় তলার পূর্ব পাশের ১৫ ফুট উঁচু দেয়াল হঠাৎ পাশের মোহাম্মদ বাচ্চু খানের টিনশেড বাড়ির ওপর ধসে পড়ে। এতে ১৮টি কক্ষের ক্ষয়ক্ষতি হয়। গুরুতর আহত হন অনেকেই। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
কাশিমপুর ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর মিরাজুল ইসলাম বলেন, ভবনধসের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ দেয়ালধসে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই শিশুর মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনিও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।