ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত ডিইপিজেডের মূল ফটকের ভেতরের অংশে বিক্ষোভ করছেন ডিইপিজেডের বিভিন্ন কারখানায় চাকরিপ্রত্যাশীরা। আজ রোববার দুপুরে
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত ডিইপিজেডের মূল ফটকের ভেতরের অংশে বিক্ষোভ করছেন ডিইপিজেডের বিভিন্ন কারখানায় চাকরিপ্রত্যাশীরা। আজ রোববার দুপুরে

সাভারে ডিইপিজেডের সামনে চাকরিপ্রত্যাশীদের বিক্ষোভ

ঢাকার সাভারে অবস্থিত ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) সামনে বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সকাল থেকে ডিইপিজেডের সামনের নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় সড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা তিনটার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে ডিইপিজেডের ভেতরে অবস্থান নিলে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা তাঁদের বুঝিয়ে মূল ফটকের সামনে নিয়ে আসেন।

দুপুর ১২টার দিকে পুরাতন ডিইপিজেডের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ডিইপিজেডের সামনে শতাধিক লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। সড়কের উভয় পাশে বাঁশ দিয়ে যান চলাচল আটকে দেওয়া হয়। এতে ওই স্থান থেকে সড়কের উভয় পাশে অন্তত তিন কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় ডিইপিজেডের মূল ফটকের ভেতরের অংশে সেনাবাহিনী ও আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১–এর সদস্যদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়। বেলা তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল মহাসড়কে বিক্ষোভরত লোকজনকে বুঝিয়ে মহাসড়ক অবরোধ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায়।

অবরোধকারীরা মহাসড়ক ছেড়ে মূল ফটকে অবস্থান নেন। এর মধ্যে কয়েকজন ডিইপিজেড চত্বরে গিয়ে সবাইকে ভেতরে ঢুকতে বলার পর সবাই চলে যান। পরে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা তাঁদের বুঝিয়ে আবার মূল ফটকের সামনে নিয়ে আসেন। বিকেল পাঁচটা (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) বিক্ষোভকারীরা মূল ফটকের সামনে অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাকরিপ্রত্যাশী একজন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখানে মারামারি–হানাহানি করতে আসি নাই। আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়া আসছি। আমরা বারবারই চাকরির জন্য আসি। মেয়েদের নেয়, আমাদের নেয় না। ১৮ থেকে ৪৫ বছরের সবাইকে যোগ্যতা অনুসারে চাকরি দিতে হবে। দরকার হলে আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরি দেওয়া হোক।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাকরিপ্রত্যাশী এক নারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই, নারী–পুরুষ সবাইকে কাজের সুযোগ দেওয়া হোক। ছেলেমেয়ের সমান সমান চাকরি দেওয়া হোক, আমরা এটাই চাই। ছেলেদের তো একদমই নেয় না। মেয়েদের মারধরও করা হয়।’

শিল্প পুলিশ-১–এর সহকারী পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাকরিপ্রত্যাশীরা জড়ো হয়ে চাকরির দাবি জানান। আমরা তাঁদের বুঝিয়েছি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবেদন করার। একপর্যায়ে তাঁরা ভেতরে ঢুকে কারখানায় সিভি দিয়ে কারখানার মূল ফটকের সামনে চলে আসেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
এ বিষয়ে ডিইপিজেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।