খালে ভাসমান বাঘের মরদেহ। মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য করমজলের বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে
খালে ভাসমান বাঘের মরদেহ। মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য করমজলের বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে

সুন্দরবনে খাল থেকে বাঘের মরদেহ উদ্ধার

সুন্দরবনের একটি খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করেছেন বনরক্ষীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে আজ দুপুরে টহল দেওয়ার সময় জোংড়া ও মরা পশুর খালের মাঝামাঝি এলাকায় বেঙ্গল টাইগারের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন বনরক্ষীরা। তাঁদের ধারণা, আশপাশের এলাকা থেকে জোয়ারের সময় বাঘের মরদেহটি ভেসে খালের ওই অংশে আসে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম মুঠোফোনে বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জোয়ারের সময় বাঘটি খালে ভেসে এসেছে। দেখে কয়েক দিন আগে মারা গেছে বলে মনে হচ্ছে। বিকেলে খাল থেকে বাঘটির মরদেহ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা, যা করমজলের বন্য প্রাণী প্রজনন ও পর্যটনকেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ জানতে সেখানে বাঘের ময়নাতদন্ত করা হবে। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগকেও জানানো হয়েছে।

সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাঘের মরদেহ এসেছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকও করমজলে পৌঁছেছেন। এখন ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’

এর আগে গেল ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী টাইগার পয়েন্ট এলাকার একটি খালপাড়ে শ্বাসমূলের মাঝে পড়ে থাকা একটি বাঘের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুরুষ সেই বাঘ ছিল দৈর্ঘ্যে ৯ ফুট। তখন বন বিভাগ বলেছিল, ওই বাঘের মৃত্যু বার্ধক্যের কারণে হয়েছিল।