খাগড়াছড়িতে সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি কলেজ সড়কে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগ তা অস্বীকার করে বলছে, বিএনপির লোকজন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রথমে হামলা করে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আফছার আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে খাগড়াছড়ি আসছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান। তাঁর গাড়িবহর শহরে আসার পথে নারকেলবাগান এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেন। এ সময় আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
এম এন আফছার বলেন, হামলায় আবদুল্লাহ আল নোমান রক্ষা পেলেও জেলা বিএনপির সহসভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান, মানিকছড়ি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক স্কুল বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা, পৌর ছাত্রদল নেতা ইফতি আহম্মেদ আহত হন। তারা স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে পূর্বনির্ধারিত শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপির গাড়িবহর থেকে কার্যালয়ের দিকে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের চারজন আহত হয়েছেন।
গাড়িবহরে থাকা চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহসভাপতি আবদুল গফুর প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে তাঁদের গাড়িবহর যাওয়ার সময় কমপক্ষে ২০০ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী হামলা চালায়।
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার নাইমুল হক আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। কেউ অভিযোগ করেনি। বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। যথেষ্ট পুলিশ পাহারা রয়েছে। হামলার বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’