পূর্বধলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুটি নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, আহত ১০

স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলামের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনার পূর্বধলায়
ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলামের দুটি নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা হয়েছে। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনী ও খলিশাউড় ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের কর্মীরা এ হামলা করেছেন বলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর শিবির থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

ট্রাকের প্রার্থী মাজহারুল ঢাকা উত্তর মহানগর কৃষক লীগের সহসভাপতি। নৌকার প্রার্থী আহমেদ হোসেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলামের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনার পূর্বধলায়

হামলার ঘটনার পরপরই মাজহারুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বাদে পুটিকা বাজারে নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে ছিলেন। এ সময় নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে হামলা চালান। কার্যালয়ের সামনে থাকা সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়। এ সময় তাঁর কর্মী বোরহান উদ্দিন, তুষার মিয়া, রফিকুল ইসলাম, মো. শাহাবুদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ও হক মিয়া আহত হন। তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া সন্ধ্যায় খলিশাউড় ইউনিয়নের ইসুলীয়া বাজারে আমার আরেকটি নির্বাচনী ক্যাম্পে নৌকার সমর্থকেরা হামলা করে চেয়ার ভাঙচুর করেছেন। আমি এখন থানায় মামলা করতে যাচ্ছি।’

মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি উচ্চ আদালতে আপিল করে ১৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর ট্রাক প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে গিয়ে নৌকার প্রার্থীর বাধার শিকার হচ্ছি। আমার কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি, প্রচারে বাধা ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে।’

নেত্রকোনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ হোসেন (বাঁয়ে) ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে নৌকার প্রার্থী আহমেদ হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে মুঠোফোনে বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজনীন সুলতানাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকার আহমেদ হোসেন ও ট্রাকের মাজহারুল ইসলাম ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র আনোয়ার হোসেন (ঈগল), জাতীয় পার্টির ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার (লাঙ্গল) ও তৃণমূল বিএনপির আব্দুল ওয়াহাব হামিদি (সোনালী আঁশ)।