জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নেই। সিংহভাগ মানুষ ঈদ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, আনন্দ করতে পারছেন না। যাঁদের সচ্ছলতা আছে, তাঁদের উচিত এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
আজ সোমবার সকালে রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ জামাতে আদায় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময়কালে জি এম কাদের এ কথাগুলো বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে যদি উৎসব পালন করতে পারি, সেটিই হবে সত্যিকারের উৎসব। এককভাবে আমরা কোনো উৎসব–আনন্দ করতে পারি না। আমাদের সম্মিলিতভাবে, সামাজিকভাবে এবং দেশের সব মানুষ যেন সমানভাবে উৎসব উদ্যাপন করতে পারি, তার জন্য সবারই দায়িত্ব আছে।’
দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জি এম কাদের বলেন, ‘বর্তমানে যেভাবে দেশ চলছে, তাতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। আমরা খুবই হতাশ হয়েছি এই বাজেটে। বিভিন্নভাবে যেসব সরকারি কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তাতে সত্যিকার অর্থে জনগণের সমস্যা নিয়ে সরকার যে বিচলিত, এটা মনে হচ্ছে না। তারা সরকার চালিয়ে যেতে চাচ্ছে নিজেদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপরে। আমরা মনে করি এর থেকে উদ্ধার পাওয়া উচিত এবং সরকারেরও এখানে দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়া উচিত।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘একটি সুন্দরতম সুখী–সমৃদ্ধি বাংলাদেশ চাই। যেখানে ন্যায্যতা-সমতা, সুবিচার থাকবে, কোনো বৈষম্য, অন্যায়-অবিচার থাকবে না। আমরা যেন এ ধরনের বাংলাদেশ উপহার পাই, আল্লাহর কাছে এটিই আমাদের প্রার্থনা।’
সেন্ট মার্টিন প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান নিয়ে দেশবাসী উদ্বিগ্ন। ওনারা (সরকার) কী করতে চাচ্ছেন আমরা বুঝতে পারছি না। মিয়ানমার বাহিনী কতটুকু অগ্রসর হলে আমরা মনে করব, তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করছে, এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আমাদের লোকজন সেখানে (সেন্ট মার্টিন) যেতে পারছেন না, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেও পারছেন না। তাঁদের সব সময় একটা ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। এ রকম অবস্থায় আমরা যদি এখনো মনে করি, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সঠিকভাবে একটা সিদ্ধান্তে আসব, সেটা হতে পারে।’
জি এম কাদের পরে রংপুর মহানগরের মুন্সিপাড়া কবরস্থানে গিয়ে তাঁর মা-বাবার এবং ‘দর্শনা পল্লী নিবাসে’ জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।