মিরসরাইয়ে ড্রেজারডুবির ঘটনায় নিহত চার শ্রমিককে পটুয়াখালীতে দাফন

চর জৈনকাঠি গ্রামের মোল্লা বাড়িতে জানাজার একাংশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ড্রেজারডুবির ঘটনায় নিহত চার শ্রমিকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পটুয়াখালীতে তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীরা জানাজায় অংশ নেন।

আজ সকালে যাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে তাঁরা হলেন ইমাম মোল্লা (৩২), তাঁর চাচাতো ভাই মাহমুদ মোল্লা (৩২), আল-আমিন (২৫) ও বাসার হাওলাদার (৩৫)। মিরসরাইয়ে বালু তোলার ড্রেজারের শ্রমিক হিসেবে কাজ তাঁরা।

২৪ অক্টোবর রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট তীব্র বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে বেপজার ভরাটের কাজে নিয়োজিত সৈকত-২ নামের ড্রেজার ডুবে যায়। এতে ভেতরে থাকা আট শ্রমিক মারা যান। দুর্ঘটনার পর থেকে আজ সকালের মধ্যে নিহত সবার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই আট শ্রমিকের বাড়ি পটুয়াখালীর সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের চর জৈনকাঠি গ্রামে। তাঁরা সৈকত-২ নামের একটি ড্রেজারে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

জৈনকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মহসিন বলেন, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ড্রেজারডুবির ঘটনায় তাঁর এলাকার আটজন নিখোঁজ ছিল। গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত পাঁচজনের লাশ উদ্ধার হয়েছিল। এর মধ্যে মিরসরাইয়ের প্রশাসনের সহযোগিতায় দুটি অ্যাম্বুলেন্সে নিহত চার শ্রমিকের লাশ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে উদ্ধার হওয়া আলম সরদারের (৩২) লাশ আজ বিকেলের মধ্যে পটুয়াখালীতে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে আজ সকালে চার শ্রমিকের লাশ পৌঁছানোর পর পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। সকাল থেকেই আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে ভিড় করছেন।

আজ সকালেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত শ্রমিকদের বাড়িতে যান পটুয়াখালী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল হাই। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহাযতা দেওয়ার কথা জানান। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।