মাছের বংশবিস্তার নিশ্চিতে সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে মাছ শিকার করায় ৫ জেলেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বহন করা একটি ট্রলার ৮৮ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এর আগে নিদ্রাছকিনা দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ডের সদস্যরা বঙ্গোপসাগরে বরইয়াচর স্থান থেকে ট্রলারসহ পাঁচ জেলেকে আটক করে। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন নেয়ামুল হোসেন, আমজাদ হোসেন, মাহমুদ হাওলাদার, ফিরোজ মোল্লা ও বুলবুল মোল্লা। তাঁরা সবাই বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য সম্পদের সুরাক্ষায় ২০১৫ সাল থেকে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি চালু করে সরকার। শুরুতে শুধু ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলার এর আওতায় থাকলেও ২০১৯ সালে সব ধরনের নৌযানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়। বঙ্গোপসাগরে মাছসহ মূল্যবান প্রাণীজ সম্পদের ভান্ডার সুরক্ষায় চলতি বছরের ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করে সরকার। ইলিশের জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞারোপের সফলতাকে অনুসরণ করে বঙ্গোপসাগরে মাছসহ মূল্যবান প্রাণিসম্পদের ভান্ডারের সুরক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে জেলে পরিবারপ্রতি ৪০ কেজি করে খাদ্যসহায়তার চাল দেওয়ার কথা রয়েছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করার অপরাধে প্রত্যেক জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, মাছসহ ট্রলার নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।